তানজিকা আমিন। অভিনেত্রী ও মডেল। আরটিভিতে আজ প্রচার হবে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘শান্তি মলম ১০ টাকা’। এ নাটক, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-
বলেছিলেন অভিনয়ের বিষয়ে নিজের ভালো লাগাকে গুরুত্ব দেন। ‘শান্তি মলম ১০ টাকা’ নাটকের অভিনয়ের কোন বিষয়টি ভালো লেগেছিল?
নাটকের গল্প শুনেই অভিনয়ে রাজি হয়েছিলাম। গল্পটা ভীষণ মজার। দর্শককে আনন্দ দেওয়ার মতো অনেক ঘটনা ও চরিত্র আছে এতে। কাজ করতে গিয়েই মনে হয়েছে, নাটকটি দেখে দর্শক আনন্দ পাবেন। আমার এই ধারণা ভুল নয়, তার প্রমাণও পাচ্ছি। নাটক দেখে অনেকেই এখন ভালো লাগার কথা জানাচ্ছেন।
নাটকের চরিত্রগুলোয় দর্শকের কাছে কতটা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে?
অনেকেই বলেন, এখনকার হাসির নাটকের চরিত্রগুলোর কাণ্ডকারখানা অনেকটা অতিরঞ্জিত হয়ে যাচ্ছে। এদিক থেকে ‘শান্তি মলম ১০ টাকা’ নাটকটি কিছুটা হলেও আলাদা। গল্প হাসির হলেও এতে অতিরঞ্জিত কিছু আছে বলে মনে হয়নি। চায়ের দোকানি বাবুল, কুব্বাত আলী, চুড়ি বিক্রেতা টিংকু, চোর লেদু, অশান্তিতে থাকা অভিরামপুর গ্রামের বিউটি, চায়না বিবি, কোহিনূর, ববিতার মতো নারীসহ সব চরিত্রেই আছে চেনাজানা মানুষের ছায়া। তাই নাটকের চরিত্রগুলো নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেননি।
একই সময়ে আপনার আরেকটি হাসির নাটক ‘মেহমান’ প্রচার হচ্ছে। এ নাটকটি দেখে দর্শক কী বলছেন?
একসঙ্গে আমার দুটি হাসির নাটক প্রচার হলেও একটির সঙ্গে আরেকটি নাটকের গল্প, চরিত্রের মিল নেই। তাই দর্শক ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার মতো কিছু নেই। ‘শান্তি মলম ১০ টাকা’ নাটাকের মতো ‘মেহমান’ও অনেকে নিয়মিত দেখছেন। এই নাটকের প্রচার শুরুর পর থেকেই অনেকের মুখে শুনছি, দারুণ মজার একটি নাটক। দর্শকমুখে এমন কথা শোনার পর সত্যি আলাদা করে আর বলার থাকে না।
অনেকদিন পর এবার ঈদে একক নাটকে অভিনয় করলেন। এতদিন একক নাটক না করার কারণ কী?
ধারাবাহিকের ব্যস্ততার কারণেই অনেকদিন একক নাটকে কাজ করা হয়ে ওঠেনি। চাইলে অনেকের মতো একনাগাড়ে ধারাবাহিক, একক নাটক ও টেলিছবিতে কাজ করে যেতে পারতাম। কিন্তু একসঙ্গে অনেক কাজ করার ইচ্ছা আমার কখনও ছিল না। তাছাড়া প্রতিদিন পর্দায় নিজেকে তুলে ধরতে হবে- এই ভাবনা নিয়ে কখনও কাজ করি না। যখন যে কাজটি করি, সেই কাজের মধ্যেই ঢুকে থাকার চেষ্টা করি। বাকি সময়টা নিজের জন্য রাখতে চাই। এক্ষেত্রে কেউ যদি আমাকে অলস ভাবেন- তাতেও আপত্তি নেই।
এখন অনেকেই অনলাইন আয়োজনে উঠেপড়ে লেগেছেন, এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
এটা অস্বীকারের উপায় নেই, অনলাইন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। টিভির পাশাপাশি অনলাইনের জন্য আলাদা করে নাটক, ছবি তৈরি হচ্ছে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের জন্য ভালো বাজেটে ওয়েব সিরিজ, ওয়েব ছবি নির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে কাজের মানও বাড়ছে। তারচেয়ে বড় বিষয় হলো, অনলাইনের কারণে দর্শক বাড়ছে। যারা ঘড়ি ধরে টিভি দেখার সুযোগ পান না, তারা অনলাইনে সুবিধাজনক সময়ে নাটক, টেলিছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
ওটিটির জন্য কোনো কাজ করছেন?
নির্মাতা শঙ্খ দাস গুপ্তের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় নিয়ে কথা হয়েছে। শিগগরিই হয়তো এর নির্মাণ শুরু হবে। হৈচৈ প্ল্যাটফর্মের এই কাজটি ভিন্ন ধাঁচের হবে বলেই আমার মনে হয়েছে।
Posted ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ আগস্ট ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin