অনলাইনে গ্রাহক সেবার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা একটি চক্র। কোম্পানি বন্ধ করে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন এক প্রতারক। লাখ-লাখ টাকা বিনোয়োগ করে এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন কয়েক হাজার ভুক্তভোগী।
কাফরুল থানা পুলিশ জানায়, দেশে থাকা চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন তারা। দেশত্যাগ যেন করতে না পারে সে জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে ইমিগ্রেশনে।
অনলাইনে গ্রাহক সেবা, ফেসবুক ম্যাসেজ ও কমেন্টের রিপলাই দেওয়ার কথা বলে লোক নিয়োগ দেয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইনটিগ্রেটেড সলিউশন নামে একটি কোম্পানি। এ জন্য জামানত বাবদ প্রতি আইডির পেছনে নেয় ১০ হাজার টাকা। একজন কেনেন ১ থেকে শতাধিক আইডি।
গ্রাহকের জামানত বাবদ নেওয়া টাকা দিয়ে এক বছর নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে প্রথমে আস্থা অর্জন করে চক্রটি। এরপর পাতে প্রতারণার ফাঁদ। দেয় লোভনীয় অফার। তাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে সবাই। দ্বিগুণ-তিন গুণ টাকা বিনিয়োগ করেন গ্রাহক। এভাবে ২৫ কোটি টাকা তুলে গাঢাকা দেয় চক্রটি। বন্ধ করে দেয় কোম্পানির অফিস ও ওয়েবসাইট। দেশ ছাড়েন কোম্পানিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা।
ব্যাংকঋণ-গহনা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ভুক্তভোগীরা ঘুরছেন রাস্তায় রাস্তায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, মানুষের কাছ থেকে ধার ও সুদে টাকা দিয়ে এখানে ইনভেস্ট করেছি। এখন দেখি সব চলে গেছে।
কাফরুল থানা পুলিশ বলছে, দেশে থাকা দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদুল আলম বলেন, মামলা তদন্তনাধীন আছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বাদীর কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি একজন আসামি বিদেশে চলে গেছে। বাকি দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে কোনো কিছু যাচাই না করে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে অর্থলগ্নি না করার পরামর্শ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Posted ৫:১২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin