নাব্য সঙ্কটে শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি সার্ভিস রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে আবারো বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে বালুর বস্তা ফেলেও ৩ নম্বর ঘাটে পদ্মার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। আস্তে আস্তে ক্রমেই বিলীন হচ্ছে ঘাট ও আশপাশের জনপদ। এতে ঘাটে ব্যবসায়ী ও আশপাশের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে।
দুদিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলার পর দুপুরে বন্ধ হয়ে যায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি চলাচল। লৌহজং টার্নিংয়ের মুখে নাব্য সঙ্কট দেখা দেয়ায় এখন চলছে ড্রেজিং। নয় দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও রাতে বন্ধ এবং দিনে সীমিত আকারে চলছিল ফেরি।
এতে দুই পাড়ে আটকে পড়া যান ও যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই গাড়ি রেখেই লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পার হচ্ছেন। অনেকে পারের অপেক্ষায় রয়েছেন। দুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম জানান, নাব্য সঙ্কটে এখন ছোট ফেরিও চলতে পারছে না। পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডবে ঝুঁকির মধ্যে শিমুলিয়ার নতুন ৩ নম্বর ঘাট। ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার এই প্রবল স্রোত এবং ভাঙন থেকে ঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে শুধু বালুর বস্তা।
বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী হারিস আহম্মেদ পাটুয়ারি জানান, গত দুই মাসে তিন দফা ভাঙনের কবলে শিমুলিয়া এখন ক্ষত-বিক্ষত।
পদ্মায় বিলীন হওয়া ৩ নম্বর ঘাট নতুনভাবে চালুর একমাসের মাথায় আবার পড়েছে ভাঙনের মুখে। বিলীন হয়ে যাওয়া ৪ নম্বর ঘাট এখনো চালু করা যায়নি। ফেরি চলছিল ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে। সেটিও এখন বন্ধ।
Posted ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin