ভারতের আসামে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গরুচোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে বগরিজান টি এস্টেটে দুর্বৃত্তদের হাতে প্রাণ হারান তাঁরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা আরো চারজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
করিমগঞ্জ পুলিশ বিভাগের উপপরিদর্শক কুমার সঞ্জিত কৃষ্ণ বলেন, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, নিহতরা গরু চুরির উদ্দেশ্যে সীমান্ত পার হয়ে আসামে ঢুকেছিলেন। অজ্ঞাত স্থানীয়রা তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করা হয়নি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার কাটার যন্ত্রপাতি, রশি, ব্যাগ, বাংলাদেশে তৈরি বিস্কুট ও রুটি উদ্ধার করেছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেন, করিমগঞ্জের ওই অংশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে ঘন বন এবং চা বাগান রয়েছে। পাথরিয়া রিজার্ভ ফরেস্টের কাছের এ এলাকায় হাতির পালের অবাধ চলাচলও আছে।
গত ১ জুন করিমগঞ্জের একই এলাকায় গরুপাচারকারী সন্দেহে ৪২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। ওই সময় পুতনি চা বাগান এলাকায় দুই ভারতীয় ও চার বাংলাদেশি নাগরিক চোরাকারবারি গরু চুরির চেষ্টা করেন বলে জানায় করিমগঞ্জ পুলিশ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে।
গত বছরের আগস্টে করিমগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক মারা যান। ওই সময় ৩০ জনের বেশি বাংলাদেশির একটি দল ভারতে প্রবেশের সময় গুলিতে মারা যান তিনি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
Posted ৪:৪৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin