বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় অন্যান্য খাতের মতো প্রভাব পড়েছে শিক্ষা খাতে। বেশির ভাগ দেশেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে ইতিমধ্যে এইচএসসি ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসন্ন এসএসসি (২০২১ সাল) পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার পরে দুই দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে। কেউ বলছেন, সিলেবাস ছোট করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবার খবর ছড়িয়ে পরীক্ষা পেছানো হবে। কিন্তু এই তথ্যগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এসএসসি ২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা কোনো মহল থেকেই দেওয়া হয়নি। ফলে ২০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে একধরনের উদ্বেগ কাজ করছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা কী ভাবছে, তা নিয়ে কয়েকটি মতামত জরিপ করে ‘সময় নিউজ’। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে ৯৫.১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অটোপাসের দাবি করছেন।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত পরিচালিত মতামত জরিপে প্রশ্ন ছিল, ‘করোনার মধ্যে আগামী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে নানা দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে আপনি কোন দাবিটি সমর্থন করেন?’। প্রশ্নের বিপরীতে তিনটি অপশন দেওয়া হয়; ১. অটোপাস ঘোষণা। ২. পরীক্ষা পেছানো। ৩. সিলেবাস কমানো।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মতামত জরিপে মোট ৫৩ হাজার ৩৯৬ জন মতামত দেন। এর মধ্যে অটোপাসের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ৫০ হাজার ৮১৩ জন বা ৯৫. ১৬ শতাংশ, পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে ৮৩২ জন বা ১.৫৬ শতাংশ ও সিলেবাস কমানোর পক্ষে ১ হাজার ৬৭৮ জন বা ৩.১৪ শতাংশ।
এর আগে নভম্বের মাসের শেষের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তখন সময় নিউজের পক্ষে থেকে একটি মতামত জরিপ করা হয়।
ওই জরিপে প্রশ্ন ছিল, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আপনি কি মনে করেন, করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানো উচিত?’ প্রশ্নের বিপরীতে তিনটি অপশন ছিল; ১. হ্যাঁ। ২. না। ৩. মন্ত্রব্য নেই। সেখানে মোট ভোট পড়ে ১৩ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে হ্যাঁ-ভোট দেন ১১ হাজার ২২৮ জন বা ৮৫.৯৪ শতাংশ, না-ভোট দেন ১ হাজার ৫৭৬ জন বা ১২.০৬ শতাংশ ও মন্তব্য করেননি ২৫৫ জন বা ১.৯৫ শতাংশ।
এদিকে সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার যে তথ্য ছড়িয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। পরীক্ষা কীভাবে হবে, সিলেবাস কমবে কিনা, সময় বাড়ানো হবে কিনা এসব বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও (এনসিটিবি) এখনও ‘পরিকল্পনা’ তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে।
জানা গেছে, ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২০ লাখ। এসব শিক্ষার্থী বছরের প্রায় পুরোটাই ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ৯ মাস ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে থাকার পর মাত্র ৩ মাসে পরীক্ষার প্রস্তুতির ঘোষণায় ব্যাপকভাবে মানসিক চাপে ২০ লাখ কিশোর-কিশোরী।
সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী সাব্বির হোসেন সময় নিউজকে বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা অটোপাস চাই। আমাদের দশম শ্রেণির জন্য নতুন করে পড়তে হয়। কিন্তু আমরা কোনো ক্লাস পায়নি। সে কারণে অটোপাস চেই।
বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী স.ম.র আল নাহিয়ান হৃদম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমি বিনীতভাবে ২০ লাখ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এই করোনায় পরীক্ষা নিতে গিয়ে আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দেন।
খুলনার ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা ইসলাম ফিহা বলেন, টানা ১০ মাস আমরা পড়াশোনা থেকে দূরে আছি; যা আমাদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আর আমরা যখন বই নিয়ে পড়াশোনা শুরু করার কথা ভাবছি তখন অনেক বেশি কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি যে, শুরু করব কোথা থেকে বা শেষ করব কীভাবে? এ ছাড়া আমরা অনলাইন ক্লাসও ঠিকভাবে করতে পারিনি। বাসায় টিচার রেখে পড়তে পারিনি। এখনো আমাদের টেস্ট পরীক্ষা হয়নি। এমতাবস্থায় যদি যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে আমরা ভালো করতে পারব না। এ জন্য করোনাকালীন সময় শেষ হওয়ার পর আমাদের টেস্ট এক্সাম নিয়ে যদি যথেষ্ট সময় দেয় এসএসসি পরীক্ষার আগে তো আমরা পরীক্ষা দিতে রাজি নতুবা অটোপ্রমোশন চাই।
নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ শাফিক বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষা দিতে রাজি। কিন্তু আমাদের মার্চ ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত যেই ক্ষতিটা হয়েছে বা এখনো হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ পূরণ করে দিতে হবে। অনলাইন ক্লাসের কথা বলে লাভ নাই! কারণ সায়েন্সের মতো জটিল বিষয়গুলো অনলাইনে ক্লাস করে পুরোপুরিভাবে সমাধান হয় না। কিছু কিছু বিষয়গুলো করা যায়। কিন্তু উচ্চতর গণিত,পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, সাধারণ গণিত এসব ক্লাস কখনোই অনলাইনে পুরোপুরিভাবে সমাধান করা যায় না! এর জন্য সরাসরি ক্লাস দরকার। তাই যদি পরীক্ষা নিতেই হয় তাহলে এই ক্ষতিটা আগে পূরণ করে দিয়ে তারপর নিতে হবে। আর নাহলে অটোপাস!
এদিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে তাদের দাবি নিয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফেসবুকে তাদের অন্তত ১০টি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী সদস্য।
ওই সব গ্রুপ থেকে তাদের যেসব দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে সেগুলো হলো;
১. করোনার ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলা যাবে না।
২. করোনা চলাকালীন কোনো ধরনের পরীক্ষা ( স্কুল বার্ষিক পরীক্ষা, টেস্ট পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষা) নেওয়া যাবে না।
৩. স্কুল কার্যক্রম ৮ মাস বন্ধ ছিল, তাই এই ৮ মাসের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা ১০ মাস পেছাতে হবে।
৪. পরীক্ষা ৮ মাস পেছানো হলে তার জন্য সেশনজট সৃষ্টি হবে, এর ফলে জীবন থেকে পরবর্তী ১ বছর ঝরে যাবে। তাই এই সেশনজটের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. যদি উপরোক্ত দাবি না মেনে জোরপূর্বক করোনা চলাকালীন সময়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা চলাকালীন যদি কেউ করোনা পজিটিভ হয়, তাহলে সেই ছাত্রের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. যদি এসএসসি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে অটোপ্রমোশন দিতে হবে।
এ বিষয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়ান উৎস বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলছে। এ ছাড়া নতুন প্রজাতির এই ভাইরাস এখন প্রাপ্তবয়স্কদেরও আক্রান্ত করছে। আমরা এই করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এসএসসি পরীক্ষা দিতে রাজি নই। যদি এসএসসি পরীক্ষা দেরিতে হয় তাহলে সেশনজট সৃষ্টি হবে। এর ফলে আমাদের জীবন থেকে এক বছর ঝরে যাবে। এ জন্য আমরা ফেব্রুয়ারির আগেই অটোপাস চাই। কারণ এর ফলে আমরা মানসিক চাপের মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত চাই।
খিলগাঁওয়ের ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আল জামান বলেন, আমরা নবম শ্রেণি থেকে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে দশম শ্রেণিতে উঠেছি। নবম শ্রেণিতে ঠিকমতো পড়ালেখা হয়নি। দশম শ্রেণিতে ওঠার পর তৃতীয় মাস অর্থাৎ মার্চ মাস থেকে আমাদের মডেল টেস্ট হওয়ার কথা। কিন্তু মার্চ মাস থেকেই আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি পড়ালেখার দিক দিয়ে। এখন আমাদের যদি ২০২১ সালে এসিএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে আমাদের সবার রেজাল্ট খারাপ হবে। রেজাল্ট যদি আমাদের খারাপ হয় তাহলে আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। তাই আমাদের ২০২১ এসএসসিতে অটোপ্রমোশন দিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিন।
শরীফ উল্লাহ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইফতিয়া আন্নি বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে বছরের প্রথম থেকে পরীক্ষার আগ পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। কিন্তু আমরা করোনার কারণে নিয়মিত ক্লাসগুলো করতে পারিনি। এমতাবস্থায় আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হলে আমরা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে সক্ষম হব না। তা ছাড়া করোনাভাইরাস আবার নতুনভাবে নতুন রূপ ধারণ করেছে। তাই আমরা নিরাপদভাবে ঘরে থাকতে চাই এবং সুস্থভাবে বাঁচতে চাই।
শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে নিয়ে ইতিপূর্বে সময় নিউজের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মো. আজিজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি সময় নিউজকে বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের ইস্যু আছে। একদিকে পরীক্ষা সময়মতো না হলে সেশনজট হবে। অন্যদিকে অল্প সময় দিয়ে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীদের ওপর বিরাট বোঝা বা মানসিক চাপ দেওয়া হবে। মানসিক চাপে পড়লে এর কিছু ফলাফল হতে পারে যেমন, পারফর্মেন্স খারাপ হতে পারে, মোটিভেশন কমে যাবে, ড্রপআউট হতে পারে। অনেকে ভয়ে এবার পরীক্ষা নাও দিতে পারে। এসব মানসিক চাপের ফলে অনেকে ড্রাগ নেওয়াও শুরু করে। এ জন্য সব বিষয় ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া।’
অল্প সময় দিয়ে পরীক্ষা ঘোষণা হলে শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে কিনা জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জিয়াউল হক সময় নিউজকে বলেন, ‘পরীক্ষা সবসময় একটু চাপের বিষয়। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের বিষয় মাথায় রাখা হবে। তারা নবম ও দশম শ্রেণিতে কতটা ক্লাস করতে পেরেছে, সংসদ টিভি বা অনলাইনে কত দূর এগিয়েছে এসব বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে।’
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব বিষয় বিবেচনা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সময় নিউজের পক্ষ থেকে গত ৭ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বরে আরো একটি জরিপ করা হয়। জরিপে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী মতামত দেন। জরিপে প্রশ্ন ছিল, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে এসএসসি ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সামাজিকমাধ্যমে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে পরীক্ষা পেছানো, সিলেবাস কমানো ও অটোপাস দেওয়া; এ তিনটি দাবি থেকে আপনি কোন দাবিটি সমর্থন করেন?’
উত্তরে অটোপাস ঘোষণার পক্ষে মতামত দেয় ৪৪ হাজার ২২১ জন (৮৭ দশমিক ১২ শতাংশ), সিলেবাস কমানোর পক্ষে ৩ হাজার ১৫৭ জন (৬ দশমিক ২২ শতাংশ) ও পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে ৩ হাজার ৩৩৬ জন (৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ)।
Posted ১:২৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin