গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ে চায়নার আবিষ্কৃত ম্যাজিক জালের ফাঁদ পেতে নির্বিচারে ছোট-বড় মাছ শিকার করা হচ্ছে। অবাধে ম্যাজিক জাল ব্যবহারে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলের মূল্যবান মৎস্য সম্পদ। এ জালের ব্যবহার বন্ধ না হলেও এক-দুই বছরের মধ্যে দেশী প্রজাতির মাছ একেবারেই বিলুপ্তি হয়ে যাবে।
জানা গেছে, চায়নার আবিষ্কৃত ম্যাজিক জাল এক ধরণের বিশেষ ফাঁদ। এটি প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট লম্বা। ছোট ছোট কক্ষ বিশিষ্ট খোপের মত। এ জাল খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ে বাঁশের খুঁটির সাথে জালের দু’মাথা বেঁধে পেতে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পর তুললে ছোট-বড় সব ধরণের মাছ এ জালে আটকা পড়ে।
সরেজমিনে উপজেলার বেথুড়ী, ঘৃতকান্দি, তালতলা, ঘোনাপাড়া, বিদ্যাধর, পারুলিয়া, রাহুথড়, পুইশুর, দেবাশুর, সিংগা বিল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার অধিকাংশ জেলেরা ম্যাজিক জাল নামের বিশেষ এ ফাঁদ পেতে নির্বিচারে পোনাসহ সব ধরনের মাছ শিকার করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার রামদিয়া গ্রামের দু’জন জেলে জানান, ম্যাজিক জালে খুব সহজেই প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। বর্ষার শুরু থেকে তারা এ জাল দিয়ে মাছ ধরছে। কারেন্ট জালের চেয়ে ম্যাজিক জালে বেশি টাকা আয় হচ্ছে। একেকটি ম্যাজিক জালের দাম ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। কয়েক দিনের মধ্যে জালের টাকা উঠে যায়। জালগুলো কোথায় কিনতে পাওয়া যায় জানতে চাইলে তারা বলতে রাজি হয়নি। তবে স্থানীয় একটি চক্র এ ম্যাজিক জাল কেনাবেচার সাথে জড়িত বলেও জানিয়েছেন তারা।
মৎস্য গবেষক আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ম্যাজিক জালের ব্যবহার বন্ধ না হলে দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাবে। বিপন্ন হবে কুচি, ব্যাঙ, সাপসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি। খুব শ্রীঘ্রই এ জালের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
কাশিয়ানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস, এম শাহজাহান সিরাজ ম্যাজিক জালের অবাধ ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ম্যাজিক জাল বা ফাঁদ মৎস্য সম্পদের জন্য বিরাট হুমকি। এটি বন্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৩:৪৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin