কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পিংকি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, গৃহবধূর স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ এবং নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জুয়েল মোল্যাকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
পিংকি একই উপজেলার আড়–য়াকান্দি গ্রামের নজির সরদারের মেয়ে। তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়। সে এক পুত্র সন্তানের জননী।
নিহত পিংকির ভাই সুমন সরদার বলেন, ৩ বছর আগের জুয়েলের সাথে আমার বোনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ নানা কারণে জুয়েল ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিংকির সাথে খারাপ আচরণ করে। বুধবার দিনগত রাত আড়াই টার দিকে পিকিং আত্মহত্যা করেছে বলে জুয়েল আমাকে ফোন করে জানায়। তবে আমার বোনকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই প্রকাশ চন্দ্র বোস জানান, খবর পেয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ির একটি বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীর জুয়েলকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Posted ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin