জমানো ছয় মণ (৬০ হাজার টাকা) কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়া সবজি ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম খবিরের (৪৫) সাহায্যে এগিয়ে এসেছে সোনালী ব্যাংক। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সোনালী ব্যাংক শাখা তাঁর কয়েনগুলো জমা নিতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ খবিরের কাছ থেকে এক টাকা ও দুই টাকার তিন হাজার টাকা মূল্যের কয়েন জমা নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কয়েন জমা নেওয়া হবে।
এর আগে, ‘৬ মণ কয়েন নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী খবির’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। পরে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এরপর তাদের নির্দেশে সোনালী ব্যাংক কয়েন জমা নেওয়া শুরু করে।
মহম্মদপুর উপজেলা সোনালী ব্যাংক সদর শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মতিন বলেন, খবিরের নামে একটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন এক হাজার টাকার কয়েন জমা দিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে তাঁর সব কয়েন জমা হবে। তিনি পরে চেকের মাধ্যমে কাগজের ব্যাংক নোট তুলে নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম খবির জানান, ব্যবসার পুঁজির শতকরা ৩-২ ভাগ কয়েনের মধ্যে চলে যায়। লেনদেন না থাকায় তিনি কষ্টে ছিলেন। কয়েনগুলো ব্যাংক নেওয়ায় দারুণ খুশি তিনি।
১০ বছর ধরে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন জমে যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খবিরের কাছে। এসব কয়েন লেনদেন সরকার বাতিল না করলেও খরিদ্দাররা এখন আর নিতে চান না। কার্যত অচল হয়ে পড়া বিপুল পরিমাণ এ কয়েন নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েন।
ব্যবসায়ী খবির বলেন, অনেক দরিদ্র মানুষ ও ভিক্ষুকরা কয়েন দিয়ে সবজি কিনেছেন। আমি মুখের ওপর তাঁদের না বলতে পারিনি। তাঁদের ফিরিয়ে দিতে পারিনি। অনেক জায়গায় ঘুরেও কয়েনগুলো চালাতে পারিনি। কোনো ব্যাংকও এই বিপুল পয়সা আর নিতে চায় না।
খবিরের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে। তিনি সদর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী। ওই গ্রামের মৃত জহুর ফকিরের ছেলে খবির।
Posted ২:০৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin