গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে ১৫ দিন যাবৎ অনশন করছে এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের তিলবাড়ী গ্রামে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের তিলবাড়ী গ্রামের সুখদেব মজুমদারের ছেলে শান্তনু মজমুদার(৩১) পার্শবর্তী পিরোজপুর জেলার পূর্ব সিকদার হাওলা গ্রামের সুনীল মৃধার মেয়ে সুপর্ণা মৃধার (২৬) সঙ্গে ৭ বছর পূর্বে গাজীপুরের জয়দেবপুরে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে হয়। এদিকে সুপর্ণা মজুমদার গাজীপুরে চাকরি করার কারণে বিয়ের পর স্বামী শান্তনু মজুমদারকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করতে থাকেন।
কিন্তু প্রায় ৭ বছর সংসার করার পরেও সুপর্নার স্বামী শান্তনু মজুমদার তাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়নি। সুপর্না মজুমদার কয়েকবার এবিষয়ে কথা বললে তার স্বামী কৌশলে এড়িয়ে যেত।
একপর্যায়ে, কিছুদিন আগে শান্তনু মজুমদার তার স্ত্রী কে কিছু না জানিয়ে গাজীপুর থেকে কোটালীপাড়া চলে আসে এবং চিতশী গ্রামের পূর্ণিমা বাগচীকে আবার বিয়ে করে।
সুপর্না মৃধা তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পেরে গত ৫ জুলাই গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় শান্তনু মজুমদারের বিরুব্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করে এবং কোটালীপাড়ায় এসে স্ত্রীর মর্যাদা স্বীকৃতির দাবিতে শান্তনু মজুমদারের গ্রামের বাড়িতে এসে অবস্থান করেন।
ভূুক্তভোগী সুপর্ণা মৃধা বলেন, শান্তনু আমাকে বিয়ে করে গত সাত বছর ধরে সংসার করেছে । বিবাহের সাত বছরে শান্তনু আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১৩ লাখ টাকা নিয়েছে। এরপর যখন শুনেছি সে বাড়ি এসে আবার বিয়ে করেছে তখন আমি শান্তনু মজমুদারের বাড়ি এসে অবস্থান করছি। শান্তনু আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত আমি এখানেই অনশন করবো।
এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েক জন জানান, এর আগেও শান্তনু মজুমদার লাখিরপার গ্রামের এক মেয়েকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিয়ের নামে প্রতারণা করে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় জুয়ার আসর বসানো ও সুদ ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ লুৎফর রহমান বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ।
Posted ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin