* অপরাধী গ্রেপ্তারে সারা দেশে বিশেষ বার্তা
* অপারেশন ডেভিল হান্টসহ বিশেষ অভিযান অব্যাহত
* সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১১৯০
‘দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টাকারীদের আইনের আওতায় আনতে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে’
– ইনামুল হক সাগর, এআইজি (মিডিয়া) পুলিশ সদর দপ্তর
‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে’
Ñলে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত করার জেরে রাজধানীসহ সারা দেশে ফের গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভয়ভীতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের বাসাবাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তল্লাশির ঘটনাও ঘটছে। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি কিংবা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, আত্মগোপনে থেকেও নিষিদ্ধ এ সংগঠনের একটি অংশ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নাশকতার অপতৎপরতা চালাতে সচেষ্ট রয়েছে। তবে তারা যাতে কোনো ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হতে না পারে, সে জন্য রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশের রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার এসপিদের সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১১৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রোববার (১ জুন) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলের। দলটির পতনের পর জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান বিগত সরকারের আজ্ঞাবহ মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্নভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছেন। কেউ কেউ ৫ আগস্টের আগেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে ঐতিহ্যবাহী এ দলটি। এখন পর্যন্ত সেই অবস্থাতেই রয়েছে। বিদেশে পাড়ি জমানো আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বেলজিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তবে অধিকাংশ নেতাই রয়েছেন ভারতে। ভারতে পালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের লোকজনও রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত ৮ মে থেকে আন্দোলন শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে তাদের অবস্থান ও শাহবাগ ব্লকেড করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর আন্দোলনের মুখে গত ১২ মে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্র্বর্তী সরকার।
এদিকে দেশে যারা আত্মগোপনে আছেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ হঠাৎ কোনো কোনো জায়গায় দু-একটি ঝটিকা মিছিল বের করেছেন। সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২২ মে বিকালে সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই ও আওয়ামী নেতা ডা. খন্দকার রাহাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগের দিন ২১ মে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
জানা যায়, দলটি নিষিদ্ধের পর গত ১৮ মে গুলিস্তানে ঝটিকা মিছিলকালে ১১ জনসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে ১৭ মে রাতে বিমানবন্দর থেকে আটক করে রাজধানীর ভাটারা থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। ১৫ মে সাবেক মেয়র তাপসের বিশেষ প্রতিনিধি এস এম কামাল হায়দারকে গ্রেপ্তার করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর তিন দিন আগে ১২ মে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে। গত ২২ মে ভোরে টঙ্গীর বনমালা রোডে গাজীপুর আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে মিছিলের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ৭৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫২ জনকে এবং অন্যান্য গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪ হাজার ৭২৪। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলায় ১১৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ সারা দেশে নাশকতার ছক আঁকছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। ঝটিকা মিছিলের নামে কেউ যদি সংঘবদ্ধভাবে নাশকতার চেষ্টা চালায়, তাদের প্রতিহত করা হবে। নাশকতার পরিকল্পনায় আওয়ামী নেতাকর্মীরা অনলাইন যোগাযোগ বাড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাইবার স্পেসে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ঢাকা এরিয়ার মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন কোনো ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে না। এর জন্য এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকায় চলবে না।
ঢাকা ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, গত এক সপ্তাহে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ১৫০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও রয়েছেন। অনেকে নিজ বাসাবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের তৃণমূলের এক কর্মী বলেন, আমরা দলের সাধারণ কর্মী ছিলাম। দিন আনি দিন খাই। ৫ আগস্টের পর থেকে আমি আওয়ামী লীগের কোনো কার্যক্রমে নেই। এরপরও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকি। আমার মত তৃণমূলে এমন হাজারো নেতাকর্মী রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়তই গ্রেপ্তার আতঙ্কে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবারের সান্নিধ্য পাওয়া তো দূরের কথা খোঁজ-খবরও নিতে পারছি না। মাঝেমধ্যে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। রাতের আঁধারে পুলিশ ঘরবাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ধরপাকড়ও করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, এমপি বা জেলার শীর্ষ নেতারা কে কোথায় আছেন, কেউ জানি না। কারও সঙ্গে যোগাযোগও নেই। শুধু জেলার নেতারাই নন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলেও সেসব অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এদিকে কামরাঙ্গীরচরের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বৃহত্তর ফরিদপুরের ছদ্মবেশে অবস্থান করছে। তার একমাত্র ছেলেকে শ্যালিকার মাধ্যমে লন্ডন পাঠিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ট ও আস্থাভাজন আ’লীগ নেতা মো. লালচাঁন সুমন কখনো মানিকগঞ্জের নিজগ্রামে আবার কখনো আশুলিয়ার আমিনবাজার এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন, আরেক নেতা জাবেদুল ইসলাম জাবেদ পঞ্চগড়, পাঁচবিবি ও গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় ঘুরে ফিরে অবস্থান করছেন। এছাড়া মো. সিরাজ তালুকদার কখনো কেরানীগঞ্জে, কখনো বরিশালে আবার গাজীপুরের টঙ্গী ও কোনাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। যাত্রাবাড়ি থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার (মামলা নং-১০৫(৩)২৫) ১৫৬, ১৫৮ নম্বর আসামি ইদ্রিস ও মফিজ হজের নামে সৌদি আরব গমন করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া এই মামলার অপর আসামি নাজিউর রহমান নাজির বিএনপির ছত্রছাঁয়ায় এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এ ছাড়া রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার অনেক দিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। অবশেষে পুলিশ তাকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে। এখন তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেল্টু আত্মগোপনে রয়েছেন এবং সহসভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান বাদশা গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাকে মাঝে মাঝে এলাকায় দেখা গেলেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। এ ছাড়া সদর আসনের সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশাকে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সচেষ্ট আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও যদি কেউ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বা নৈরাজ্য ঘটানোর চেষ্টা করে, অবশ্যই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন করতে না পারে, সেজন্য সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা যাতে অবৈধভাবে মিছিল বা কর্মসূচি করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
Posted ৩:২০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ জুন ২০২৫
dailymatrivumi.com | Shimul Howlader