উৎপাদিত গরুর দুধ বিক্রি করতে না পেরে তা দিয়ে ঘি তৈরি করে করোনা বিপর্যয় ঠেকিয়েছেন যশোরের বহু খামারি। এতে নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে গেছে বিপুল পরিমাণ গরুর দুধ। আর এ কাজে স্বল্প সময়ে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।
এমনই তথ্য উঠে এসেছে রুপালী ব্যাংক আয়োজিত গ্রাহক সমাবেশে। যেখানে জেলাভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা ভোগান্তি ও ইতিবাচক দিক নিয়ে মতামত দেন বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) শহরের এস এম আর রোড শাখায় আয়োজিত স্থানীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে আয়োজিত সংলাপে, সেবার মান বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্রঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোর অনীহা দূর করার আহ্বান জানান গ্রাহকরা। এ সময় শাখা ব্যবস্থাপক মো: শহীদুল ইসলাম জানান, অনেক সময় আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে ব্যাংকগুলোতে সেবা নিতে গিয়ে অসন্তুষ্ট হন গ্রাহকরা। তবে সরকারি সেবা সমন্বয়ের সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের ভাতা প্রদান, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নেও আজকাল সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় করোনাকালীন বাণিজ্যিক ক্ষতি থেকে সাধারণ ব্যবসায়ীদের রক্ষায় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, একজনের আমানত-ই অন্যজনকে ঋণ হিসেবে দেয় ব্যাংকগুলো, সুতরাং গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণই ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দায়িত্ব হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: আইবিবিএলের ২ হাজার কোটি টাকার উৎস ৭ বছরেও পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক
সমাবেশে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে সন্দেহজনক লেনদেন চোখে পড়লেই তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্টিংয়ের সংস্কৃতি চালু করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ব্যাংকটির উপ-মহাব্যবস্থাপক ইমান আলী। তিনি বলেন, সব পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা ও দেশপ্রেম ছাড়া অর্থপাচার রোধ করা অসম্ভব।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে উঠে আসা সব অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন রুপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক শচীন্দ্র নাথ সমাদ্দার। তিনি জানান, করোনাকালে সরকার ঘোষিত ২ শতাংশ হারে ঋণ প্রদানে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করেছে ব্যাংকটির খুলনা অঞ্চল। এছাড়াও ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে ঋণ প্রদান, শূন্য সুদে কৃষি ঋণ প্রদানেও বিদায়ী বছর ২০২০ সালে শতভাগ লক্ষ্য অর্জন করেছে ব্যাংকটি।
অনুষ্ঠানে সবচেয়ে কম সময়ে ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদনের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যশোর অঞ্চলের বিশাল সবজি পরিবহনের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় স্থানীয়ভাবে বস্তা উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে রুপালী ব্যাংক।
Posted ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ জানুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin