নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কাউছার থাকছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে, উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে তিনিই নৌকা প্রতীকের চূড়ান্ত প্রার্থী বলে জানানো হয়েছে। বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ছাড়া কাউকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা অন্য কোনো সংগঠনিক শাখার নেই। তাই ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কাউছারকে যে বহিষ্কার করেছে তা বৈধ নয়।
এর আগে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কাউছারকে বিভিন্ন অযুহাতে বহিষ্কার করে সেই চিঠি কেন্দ্রে পাঠায় জেলা আওয়ামী লীগ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, কাউছারের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আনা অভিযোগগুলো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সত্য নয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. কাউছারই দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে একহয়ে কাজ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের চিঠিতে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মো. কাউছারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্ল্যাহর সমর্থক ছিলেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে কাউছার ফরিদপুর-৪ আসনের জনপ্রিয় ও তরুণ সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সঙ্গে যোগ দেন।
যোগদান সম্পর্কিত অনুষ্ঠানের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘জনাব মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপির প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী জনাব মো. কাউসারের যোগদান অনুষ্ঠান। প্রচারে চরভদ্রাসনে সর্বস্তরের জনগণ’।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা ও ফুলের তোড়া সংসদ সদস্য নিক্সনের হাতে তুলে দিয়ে যোগদান করেন মো. কাউসার। একই সঙ্গে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে নিক্সনের সঙ্গে যোগ দেন চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের সভাপতি মো. রুবেল মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মোল্লা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মৃধা। এ ঘটনার পর সরাসরি আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজী জাফরউল্ল্যাহর সমর্থনে ষড়যন্ত্র শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৩ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসার মৃত্যুর কারণে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে যায়। গত ২৯ মার্চ এ উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনা মহামারির কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। আগামী ১০ অক্টোবর এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Posted ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ অক্টোবর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin