জনসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন সরকার। দেশটিতে বয়স্ক জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি ও কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ২০২১-২০২৫, পাঁচ বছর মেয়াদি এ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলির বরাত দিয়ে আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, নতুন এ পরিকল্পনার আওতায় বেশি বেশি সন্তান নেওয়াকে উৎসাহিত করতে দম্পতিদের বাড়তি আর্থিক ও নীতিগত সহায়তা দেওয়া হবে।
চীনের জনসংখ্যা সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউয়ান শিন বলেছেন, ‘জন্মহার বাড়ানো, কর্মক্ষেত্রের মানন্নোয়ন ও জনসংখ্যার কাঠামোর উন্নতির ওপর নজর দেওয়া হবে নতুন এ নীতিমালার আওতায়।’
১৯৭৮ সালে ‘এক সন্তান’ নীতি ঘোষণা করেছিল চীন। এই নীতি লঙ্ঘনকারী দম্পতিদের জরিমানাও করা হয়। এমনকি তাদের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হয়। প্রচুর পরিমাণে গর্ভপাতও করা হয়েছিল। সে সময় চীনের লক্ষ্য ছিল দেশের দারিদ্র্য হ্রাস করা। কারণ চীনে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
তারপর ২০১৬ সালে চীন এ ক্ষেত্রে ছাড় দেয় এবং লোকজনকে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে চীন সেই সব দম্পতিকে আর্থিক সহায়তা দিতে চলেছে, যারা আরো শিশুর জন্ম দিতে চাচ্ছেন।
চীনের একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ ঝেং বিংওয়েন রয়টার্সকে বলেন, ‘বয়স্ক জনসংখ্যার স্রোত সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের দেশের পরিবার পরিকল্পনা নীতিগুলো সংস্কার এবং দম্পতিদের আরো সন্তান গ্রহণের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন।’
Posted ১২:০৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin