ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা ২৬ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নে আজ বুধবার দুপুর ২টায় রায় ঘোষণার জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। গতকাল মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালত ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত শুনানি শেষে যেকোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। আদালতের আজকের কার্যতালিকার ১ নম্বরে ছিল মামলাটি। তবে আদালত গতকালও দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন), সোনালী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন।
আইনজীবী ছিলেন দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
এদিকে গতকাল আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, জাহালম যত দিন কারাভোগ করলেন, তত দিন তিনি ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন কি না? জবাবে উভয় পক্ষই বলে, জাহালম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। তবে দুদক আইনজীবী বলেছেন, ক্ষতিপূরণ দেবে সোনালী ব্যাংক আর সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী বলেন, ক্ষতিপূরণ দেবে দুদক।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ব্যাংকের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই দুদক পরবর্তী তদন্তপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তাই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দায় ব্যাংককেই নিতে হবে। আদালত বলেন, প্রকৃত আসামি আবু সালেক ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, ‘শুনেছি, সে ভারতে চলে গেছে। তবে সীমান্তে ও ভারতকে জানানো আছে। কভিডের কারণে দেরি হয়েছে। আশা করি, সে ধরা পড়বে।’ এরপর সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘দুদক তদন্ত শেষে এই জাহালমকে আসামি করেছে। এর দায় সোনালী ব্যাংকের নয়, দুদকের। তাই দুদকই ক্ষতিপূরণ দেবে।’
Posted ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin