চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করে ভ্যাকসিন নেন তিনি। পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
প্রথম দিনে ৫২ জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ বাড়বে। টিকা গ্রহণের আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করেছে, বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে; জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অপপ্রচারকারীদের মিথ্যাচার ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি বলেন, সারা বছর ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলবে। এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমালোচনা নয়, প্রথমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের নেওয়ার মাধ্যমে আস্থা বাড়বে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম দিনের বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব টিকা নেবেন।
তিনি বলেন, দেশের সব জেলার সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়েছি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আছেন। তাদের সঙ্গে আমরা ভ্যাকসিন নেব। এটা নিয়ে যেন কোনো রকমের রিউমার না হয়। এই ভ্যাকসিন খুবই নিরাপদ, যতগুলা ভ্যাকসিন আছে তাদের মধ্যে এটা সবচেয়ে নিরাপদ। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। আমরা হাজার হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেব, লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বমোট এক হাজার ১৫টি হাসপাতালে টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ২ হাজার ৪০২টি দল টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকায় ৬৫টি স্থানে টিকাদান হবে। সেখানে কাজ করবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ২০৬টি দল।
ঢাকার বাইরে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলিয়ে ৯৫৯ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জায়গায় ২ হাজার ১৯৬টি দল টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দুজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং দুজন স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে প্রতিটি দলে চারজন সদস্য থাকবেন। টিকার জন্য নিবন্ধন করা না থাকলেও কেন্দ্র থেকে কাউকে ফেরত পাঠানো হবে না। কেন্দ্রেই নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।
Posted ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin