ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে চলন্ত ট্রেনে ছুরিকাঘাত করে লোহাগাড়া বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌকিরুল ইসলাম হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত তৌকিরের মা আয়েশা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই মো. সুরুজ্জামান সরকারের মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদানের প্রতিবাদ এবং পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের বিচারের দাবিও জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে আয়েশা বেগম বলেন, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শোকসভায় অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথে টঙ্গী এলাকায় চলন্ত ট্রেনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় ওই তৌকিরকে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামি আমিন গং তৌকিরকে হত্যার জন্য ট্রেনে ঝগড়া করে এবং ছুরিকাঘাত করে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানাসহ গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করতে ভৈরব রেলওয়ে থানাকে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে তাদের পক্ষ নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তৌকিরের মা দাবি করেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার সাক্ষীদের নিয়ে যেসব তথ্য চূড়ান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন সে বিষয়ে বিভিন্ন অসঙ্গতি রয়েছে। এমনকি আসামি গ্রেফতারের জন্য খরচের কথা বলে দফায় দফায় টাকাও নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
কিন্তু তৌকির হত্যা ছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত তৌকিরের মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তৌকিরের ভাবী মোছাম্মৎ খাইরুন্নেছা। উপস্থিত ছিলেন তৌকিরের বড় ভাই মোহাম্মদ আলমগীর।
Posted ১০:০১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin