স্টেশনে দাঁড়ানো ট্রেন থেকে পানি নিতে নেমে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক এতিম কিশোরী (১৫)। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায়। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ওই কিশোরী। এরপর মামলায় মূলহোতা রকিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার তালুক বানিনগর এলাকা থেকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রকি একই উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের তালুক বানিনগর এলাকার রজব আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের কাউনিয়া এলাকার মামার বাড়ি থেকে ওই এতিম কিশোরী গত সোমবার লালমনিরহাটের পাটগ্রামে খালার বাড়ি বেড়াতে আসে। সেখান থেকে পরদিন সন্ধ্যায় লালমনিরহাটগামী আন্তঃনগর করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাউনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রেন কালীগঞ্জের কাকিনা স্টেশনে দাঁড়ালে ওই কিশোরী পানি নিতে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। এ সময় ট্রেনটি ছেড়ে দিলে সে উঠতে পারেনি। তবে কাকিনা স্টেশনে নিজেকে রকি পরিচয় দিয়ে এক ছেলে নিজেকে কাউনিয়ার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয় এবং অটোরিকশায় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর ওই যুবক কিশোরীকে নিয়ে কাউনিয়া যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সড়কের ঘুরে মধ্যরাতে একটি সেচ পাম্পের নির্জন ঘরে নিয়ে রকির আরও তিন বন্ধুসহ চার যুবক মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরদিন বুধবার ওই কিশোরীকে ছেড়ে দিলে স্থানীয়দের সহায়তায় এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই কিশোরী।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা বৈঠকে বসে ধর্ষণকারী যুবকদের শনাক্ত করে মোটা অংকের টাকা জরিমানা আদায় করেন। তবে জরিমানার টাকা কিশোরীকে না দিয়ে উল্টো তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে পথখরচ দুই হাজার টাকা দিয়ে মাতব্বররা তাকে পাঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতা।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ওই কিশোরী কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আশ্রয় নিলে সাংবাদিকরা থানা পুলিশকে অবগত করে। এরপর ধর্ষিতার দেয়া তথ্যমতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। রাত ৯টার দিকে ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Posted ৪:১২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin