ঢাকার বাড্ডা ও ভাটারা থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও নির্মূলে জিরো টলারেন্স, ভূমি দস্যুদের দমন, জুয়াড়িদের উচ্ছেদ, বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি, অফিসিয়াল কাজের নিষ্পত্তিসহ অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে সময়োপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সেরা সহকারী কমিশনার (এসি) নির্বাচিত হয়েছেন মো. এলিন চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর রাজারবাগে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ সভায় সেরা এসি হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম। গত আগস্ট মাসের পারফরমেন্স বিবেচনায় তিনি এ স্বীকৃতি পান। এলিন চৌধুরী ডিএমপির বাড্ডা জোনে সাফল্যের সাথে সিনিয়র এসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সেরা সহকারী কমিশনার নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে এলিন চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের সেবা করার জন্য এই পেশায় এসেছি। এটা আমাদের একটি রেগুলার কাজ। আর যে কোনো ভালো কাজের স্বীকৃতি সব সময়ই ভালো লাগে। কাজের স্পৃহা বাড়িয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, ডিএমপির বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিনিয়র এসি) মো. এলিন চৌধুরী ২০১৪ সালে ৩৩তম বিসিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জ। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে এবং একজন জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত পুলিশি সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ডিএমপিতে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেনএলিন চৌধুরী। এই তরুণ পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাসিক পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ।

অনুষ্ঠানে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ.মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম(বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) সহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।