বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দাবিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট চলছে। গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে বরিশালসহ সারা দেশে এই ধর্মঘট শুরু হয়।
একই দাবিতে গত দেড় বছরে আরো তিনবার ধর্মঘটে যায় সংগঠনটি।
বিআইডাব্লিউটিএ -এর গাবখান চ্যানেলের সিগন্যাল ম্যান রুহুল আমীন জানান, ধর্মঘাটের ফলে গাবখান চ্যালেন জাহাজ শূন্য। মোংলাগামী জাহাজ ঘশিয়াখালী চ্যানেলে অবস্থান করছে। অপরদিকে, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী জাহাজ মোংলা নদীবন্দরে অবস্থান করছে। কীর্তনখোলা নদীতে জাহাজ নোঙর করে আছে।
নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নিয়োগপত্র প্রদান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, খাদ্যভাতা প্রদান, প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, ভারতগামী নৌযানের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান, নৌপথে নাব্যতা রক্ষা এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও পুলিশি নির্যাতন বন্ধ।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল আঞ্চলিক সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার সকালে বলেন, শ্রমিকরা সন্ধ্যার পর থেকে বরিশাল নৌবন্দর এলাকায় ফেডারেশন কার্যালয়ে অবস্থান নেন। রাত ১২টার পর নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন। এখনো পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও ধর্মঘটে যাওয়ার পর দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সরকার ও নৌযান মালিকরা। পরে তাঁরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। তাই বাধ্য হয়ে আবারো ধর্মঘটে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
Posted ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin