সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ইকোপার্ক, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লী, রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেটসহ আকর্ষণীয় স্পটগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেল, চায়ের দোকানগুলো এখন সরগরম। হৈ-হুল্লোড় আর সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলে উপভোগ করেছেন পর্যটকরা।
সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলে উপভোগরেছেন পর্যটকরা
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে প্রতি বছরই ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে সাজানো হয় নতুন সাজে। পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরাও নতুন পণ্য দিয়ে সাজান দোকানগুলো।
ইংরেজি নববর্ষ ঘিরে প্রতি বছর হোটেল-মোটেলগুলো নানা সাজে সাজানো হলেও এবার তা চোখে পড়েনি। তবে হোটেল-মোটেলে বেড়েছে বুকিং।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, রিজার্ভেশনের পরিমাণ খুবই ভালো। এর মধ্যেই বেশিরভাগ বুকিং হয়ে গেছে। থার্টিফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে প্রতি বছর তারকামানের হোটেলগুলোতে থাকে নানা আয়োজন। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর কোনো আয়োজন নেই। নতুন বছরে হোটেলভেদে বিভিন্ন রকমের বুকিংয়ে ছাড় দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর থেকে ঘুরতে আসা আজাদ বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এসেছি। বরাবরই আমি কুয়াকাটায় আসি।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা গেস্ট রাখছি। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।
সৈকতে বোতল দিয়ে খেলা করছে দুই ভাই-বোন
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াব) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, বিশেষ দিনগুলোতে কুয়কাটায় পর্যটকের চাপ বেশি থাকে। নতুন বছর উপলক্ষে দুদিন ধরে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক এমএম মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল টিম ও রেসকিউ টিমও কাজ করবে।
Posted ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin