নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার দুটি গ্রামে শনিবারের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলার পরদিন রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ব্রিগি রাফিনি এ তথ্য জানান।
এদিন হামলার শিকার একটি গ্রাম পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে গণমাধ্যমকে সাক্ষাতকারে নিহতের সংখ্যা ঘোষণা করেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সীমান্ত রয়েছে মালির সঙ্গে। হামলার কারা জড়িত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি রাফিনি।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, তছোম্বাংউ ও জারোমদারে গ্রাম একযোগে সন্ত্রাসীদের চালানো হামলায় শনিবার অন্তত ৭০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
মালি এবং বুরকিনা ফাসোর সীমান্তবর্তী নাইজার প্রায় আল কায়েদা এবং ইসলামি স্টেট আইএস সম্পৃক্ত বিদ্রোহীদের হামলার শিকার হচ্ছে। সংঘাতের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশটিতে ব্যাপক নিরাপত্তা সংকট রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা মিত্ররা ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।
হামলরা দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার গ্রাম দুটি টিলাবেরি অঞ্চলে অবস্থিত। এ অঞ্চল ২০১৭ সাল থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় আক্রান্ত হচ্ছে। অব্যাহত হামলার কারণে অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
জঘন্য এ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। নাইজারের বন্ধুত্বপূর্ণ, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণ এবং সরকারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে আঙ্কারা।
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ভূমিবেষ্টিত আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের নাইজার, নিরাপত্তা সংকট এবং মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। দেশটিতে ২ লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী এবং আড়াই লাখ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে।
বোকা হারাম সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। গেল মাসে দিফা অঞ্চলে হামলা চালিয়ে ২৭ জনকে হত্যা করে তারা।
Posted ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin