নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের ৩দিন পর বাড়ির পাশে পুকুর থেকে স্কুলছাত্র আরাফাতের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) নিহত স্কুলছাত্রের মা রিনজু আক্তার বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তার দাবি, আরাফাতের বাবা রফিকুল ইসলাম ওরফে মনা উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের স্থানীয় সাবেক ওয়ার্ড সদস্য। তার প্রতিপক্ষরাই আরাফাতকে হত্যা করেছে।
এদিকে স্কুল ছাত্র আরাফাত নিহতের ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্বজনরাসহ স্থানীয় শতাধিক এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এম এ চোয়ালাম বলেন, রফিকুল ইসলাম মনা মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন। তার ছেলে আরাফাতকে অপহরণের পর বাড়ির পাশে পুকুর লাশ ফেলে রাখার বিষয়টি মেনে নিতে পারছিনা। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, উপজেলার লাউসার গ্রামের মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম মনা’র ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আরাফাত গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাড়ি পাশেই কনসার্ট অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। ওই রাতে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরদিন বুধবার পরিবারের পক্ষ থেকে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। তবে ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির পাশে পুকুরে আরাফাতের লাশ ভেসে উঠতে দেখেন গ্রামবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাব্বিকে (২৩) আটক করে।
স্বজনদের দাবি, আরাফাতের কপালে আঘাতের চিহ্ন ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার আলামত পাওয়া যায়। তাদের অভিযোগ, মাথা থেঁতলে ও শরীরে ইটের আঘাত করে আরাফাতকে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে খুনিরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আরাফাতকে তার বাবার প্রতিপক্ষ হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন চৌধুরি সময় নিউজে বলেন, নিখোঁজের তিনদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় আটক রাব্বির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
Posted ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin