আলোচিত পিকে হালদারের বিপুল পরিমাণ সম্পদের সন্ধান মিলেছে পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতের কলকাতায়। পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৯টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দিল্লি ও মুম্বাইয়ে আরও সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি জানান, পিকের পাচার করা টাকা দিয়েই কলকাতায় সুকুমারের নামে সম্পদ গড়েছে।
কলকাতার রেইড তদন্তের অংশ বলেও জানান দুদক আইনজীবী। তিনি জানান, পিকে হালদার ইস্যুতে দুদক, বিএফআই ও ভারতের সিবিআই যৌথভাবে কাজ করছে।
এ ছাড়া কলকাতায় পাওয়া ৯টি বাড়ি জব্দের বিষয়ে প্রয়োজনে আবেদন করবে দুদক।
মাস খানেক আগে পিকে হালদারের অর্থপাচারের সহযোগিতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটপাটে এই দুজন পিকে হালদারকে সহযোগিতা করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি।
পিকে হালদারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা হয়েছে। তার সহযোগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ জনকে গ্রেফতারও করেছে দুদক। এদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পিকে ইস্যুতে ৬৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
Posted ৬:১১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৪ মে ২০২২
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin