১০ হাজার গ্রাহকের জমা টাকা নিয়ে উধাও পিরোজপুরের এহসান গ্রুপ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা। সারাজীবনের সঞ্চয় হারিয়ে দিশেহারা লোকজনের দাবি- মুনাফা নয়, অন্তত মূলধনের অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন জানায়, ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাবেক এমএলএম কর্মী ও মসজিদের ইমাম রাগীব আহসান একে একে চালু করেন ১৪টি প্রতিষ্ঠান। ‘এহসান গ্রুপ পিরোজপুর বাংলাদেশ’ লাখ টাকার বিপরীতে মাসে ২ হাজার টাকা মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকের কাছ অর্থ থেকে সংগ্রহ করে।
গ্রাহকরা জানান, শুধু পিরোজপুরই নয় আশপাশের জেলার লোকজনের কাছ থেকেও টাকা নেয়। ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালনার দোহাই দিয়ে প্রথমে কয়েক বছর লেনদেন ভালভাবে চললেও পরবর্তীতে প্রতারণা শুরু করে তারা।
গ্রাহকদের একজন জানান, পাওনা টাকা দেওয়া কথা বলে ৬-৮ মাস ধরে আমাদের ঘুরাচ্ছে। কিন্তু যখনি টাকা চাই, তখনই বলে একটু অপেক্ষা করেন দিয়ে দিবো। এখন এই টাকার চিন্তায় গলায় দড়ি দিয়ে মরার অবস্থা হয়ে গেছে।
প্রতিদিনই পাওনাদাররা এসে ভিড় করলেও হদিস নেই মূল অভিযুক্ত কারও। একই মালিকের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ফলক সংশোধন করে চালানো হয়।
সমবায় দপ্তর থেকে নিবন্ধন নিলেও শর্ত ভঙ্গ করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন বলছে, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, এহসান গ্রুপ থেকে যেন মানুষগুলো দ্রুত তাদের পাওনা বুঝে পায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিরোজপুর সদরের খলিশাখালীতে এহসান আবাসন প্রতিষ্ঠান দিয়ে মুফতি রাগীব আহসান ২০১০ সালে শুরু করেন কার্যক্রম। সমবায় দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটি সদস্য সংখ্যা কম দেখিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
Posted ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin