কোটালীপাড়া প্রতিনিধি : সুুজিৎ মৃধা
ফাতেমা হোসেন, ১০৫ নং ভুতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। করোনাকালীন ছুটিতে খবর পেয়েছিল স্কুলে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট দেয়া হবে, সহপাঠীরা সবাই সেই বিস্কুট পেলেও তাকে দেয়া হয়নি । প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে ফাতেমা কে বলেন তার নামে কোন বিস্কুট আসেনি। বিস্কুট না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে চলে আসে ফাতেমা।
অথচ ফাতেমার ভর্তি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রই স্কুলে জমা দিয়েছে ফাতেমার বাবা আফজাল হোসেন, শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারনেই সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ১০৫ নং ভুতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এমন অনেক অনিয়ম ও আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে ১০৫ নং ভুতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবদুলাল বৈদ্যর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে ১ একর ১৮ শতাংশ জয়গা রয়েছে, যা থেকে প্রতিবছর ৬ হাজার টাকা আয় হলেও বিগত বছরগুলোতে প্রধান শিক্ষক সেই টাকার হিসেব কাউকে দেয়নি। ২০১৬ সালের বিদ্যালয় ভবন মেরামত ও আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ ১,৫৮,০০০ টাকা বরাদ্দ হলে প্রধান শিক্ষক মাত্র ১,১৫,০০০ টাকার কাজ করিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া ২০১৩ ও ২০১৪ সালের স্লিপের কাজের কোন হিসেব ম্যানেজিং কমিটিকে বুঝিয়ে দেয়নি প্রধান শিক্ষক দেবদুলাল বৈদ্য । ২০১৭ নতুন ভবন নির্মানের সময় বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই ৫০,০০০ টাকা মূল্যের ৯টি গাছ কেটে বিক্রি করেন এবং বিভিন্ন সময়ে স্কুলের আসবাবপত্র করার জন্য গাছ কেটে নিয়ে সেই কাঠে নিজের ঘরের ফার্নিচার করার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও, বিদ্যালয়ে সময়মতো উপস্থিত না থাকা, অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, বিদ্যালয়ের কক্ষগুলো ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাবহার এমনি বিদ্যালয় চলাকালীন প্রকাশ্যে ধুমপান করার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক দেবদুলাল বৈদ্যের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন ঢালী বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Posted ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin