রাজধানীর সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের একটি ভাড়া বাসা থেকে প্রেমিকের পাঁচ টুকরো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই প্রেমিকাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
ওয়ারী থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। এ ঘটনায় শাহনাজ পারভীন নামের ওই নারীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই নারী এখন পর্যন্ত একাই হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপরও হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। শুক্রবার ওই নারীকে আদালতে তোলা হতে পারে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে পুলিশ ওই নারীর রিমান্ড চাইবে। সজীবের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত যুবকের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা থানায় যোগাযোগ করেছেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় সজীবের খণ্ড খণ্ড মরদেহ।
প্রতিবেশীরা বলেন, ৫ থেকে ৬ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের ৬ তলা ভবনের চতুর্থ তলায় বাস করে আসছিলেন ৫০ বছর বয়সী শাহনাজ ও বাসের টিকিট কাউন্টারের কর্মী ৩২ বছরের সজীব।
এদিকে স্ত্রী নিখোঁজ থাকায় মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আটককৃত শাহনাজের আসল স্বামী।
বৃহস্পতিবার সকালে শাহনাজ তার আগের স্বামীকে ফোন দিয়ে বলেন তিনি বিপদে আছেন। এ ফোন পেয়ে স্বামী পুলিশ নিয়ে হাজির হন ওই বাসায়। এ সময় দেখতে পান সজীবের ৫ খণ্ড মরদেহের পাশে বসে আছে তার স্ত্রী শাহনাজ।
ওয়ারী বিভাগের পুলিশ জানায়, তিন দিন ধরে শাহনাজ নিখোঁজ ছিলেন। নিহত সজীব বুটিকসের কাজ করতেন। শাহনাজের সঙ্গে সজীবের পাঁচ বছর আগে সম্পর্ক হয়।
Posted ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin