আবারও পয়েন্ট খোয়ালো চেলসি। এবার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করলো ল্যাম্পার্ড বাহিনী। মৌসুমে নিজের সপ্তম গোলের দেখা পেলেন অলিভার জিরু।
বড় দিনের ছুটিতে স্যান্টা সবাইকে উপহার দিলেও, সেটা মনে হয় পৌঁছায়নি চেলসি ক্লাবে। না হলে এরকম কেন হবে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের সঙ্গে। বক্সিং ডে তে, আর্সেনালের বিপক্ষে ৩ গোল হজম করতে না করতেই, এবার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষেও পয়েন্ট হারাতে হলো ব্লুদের। এগিয়ে থেকেও, জয়হীন রইলো লন্ডনের ক্লাবটি।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শুরুটা অবশ্য এরকম মনমরা ছিলোনা। আক্রমণাত্মক ৪-৩-৩ ফর্মেশন নিয়ে মাঠে নামে চেলসি। প্রতিপক্ষের ৪-২-৩-১ তখন খাপছাড়া লাগছিলো স্বাগতিকদের সামনে। কিন্তু টানা ৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ডিন স্মিথের শিষ্যরা গুছিয়ে উঠতে সময় নেননি। দ্রুতই, মাঝ মাঠের দখল চলে যায় ভিলার হাতে।
প্রথম দশ মিনিটে চলে পালটা পালটি আক্রমণ। গোলের দেখা না পেলেও, কর্নার থেকে চাপ তৈরি হয় দুই পোস্টেই। এর মাঝে, ১২ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারান পুলিসিক। গোলরক্ষককে অনেকটা একা পেয়েও বাইরে মারেন তিনি।
অ্যাস্টন ভিলা মাঝমাঠে আধিপত্য পেলেও, আক্রমণে ছিলোনা মুন্সিয়ানা। তাই তো ২৯ মিনিটের হালকা শটটা আটকে দেন মেন্ডি। হাফ ছেড়ে বাঁচেন ল্যাম্পার্ড। তবে, প্রতি আক্রমণে গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলো চেলসি। জিরুর হেড থেকে পাওয়া বলটা যদি লাইনে রাখতে পারতো পুলিসিক, তাহলে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো না চেলসিকে।
সতীর্থদের বার বার মিসে বিরক্ত অলিভার জিরু। ৩৪ মিনিটে নিজেই ব্যাকহিল করে আক্রমণে পাঠান চিউইলিকে। কিছুটা এগিয়ে আবারো জিরুকে ক্রস করেন এই ইংলিশ। এবার আর ভুল করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। ডাইভিং হেডে বল জড়িয়ে দেন অ্যাস্টন ভিলার জালে। এগিয়ে যায় চেলসি। এ মৌসুমে, পঞ্চম বারের মতো প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েই নিজের সপ্তম গোল পূরণ করেন তিনি।
এক গোলে পিছিয়ে বিরতিতে গেলেও, ফিরে এসে বদলে যায় ভিলার খেলা। আক্রমণের কৌশল বদলে ব্লু ডিফেন্সের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ওয়াটকিন্স, লুইজরা। ফলাফল পেতে অপেক্ষাও করতে হয়নি বেশিক্ষণ। ৫০ মিনিটে, ম্যাটি ক্যাশের উড়ন্ত ক্রস থেকে পাওয়া বলে মেন্ডিকে বোকা বানান আনোয়ার আল গাজী। সমতায় ফেরে অতিথিরা।
গোল খেয়ে অবশ্য পালটা আক্রমণে উঠে চেলসি। ৬৫ মিনিটে এগিয়েও যায় তারা। কিন্তু বেরসিক লাইন্সম্যান, উঠিয়ে বসেন অফসাইডের পতাকা। মন ভেঙে যায় ব্লু শিবিরের। গোল যে শুধু স্বাগতিকরাই করতে চাচ্ছিলো তা কিন্তু নয়। ৬৭ মিনিটে বার পোস্ট বাঁধা না হলে এগিয়ে যেতে পারতো ভিলাও।
কিন্তু, সবার চেষ্টা ব্যর্থ হয় নব্বই মিনিটের বেঁধে দেয়া সময়ে। ১-১ এর ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চেলসি-অ্যাস্টন ভিলাকে।
Posted ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin