২০২০ সালে আলোচিত যেসব মামলার রায় হয়েছে:-
১৯ বছর পর রায়: ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড
রাজধানী ঢাকার পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলা মামলায় ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা চালানো হয়। বোমা হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় এ রায় দেয়া হয়।
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের প্রথম রায়:
রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশ হেফাজতে জনি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদসহ তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
সাহেদের অস্ত্র মামলার রায়:
মাত্র ৮ কর্মদিবসে বিচার কাজ শেষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। মামলায় গত ২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এরপর মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজা হত্যা মামলার রায়:
গত ৪ অক্টোবর ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলায় দুই গৃহকর্মী রিতা আক্তার ওরফে স্বপনা ও রুমা ওরফে রেশমার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের নিজ বাসায় খুন হন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলার রায়:
মাত্র ৯ কর্মদিবসে বিচার কাজ শেষে গত ১২ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের ২০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। এ মামলায় গত ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এরপর মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
পায়েল হত্যা মামলার রায়:
গত ১ নভেম্বর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় তাকে বহন করা বাসটির চালকসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য দেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায়:
মাত্র ১৩ কর্মদিবসে বিচারকাজ শেষে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মো. মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর মামলার মোট ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ হত্যা মামলার রায়:
গত ২ ডিসেম্বর ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
ভাই-ভাবি হত্যার মামলার রায়:
১৩ সেপ্টেম্বর সম্পত্তির জন্য টাঙ্গাইলে ভাই অনিল কুমার দাস ও ভাবি কল্পনা রানীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
শিশু সামিউল হত্যা মামলার রায়:
পরকীয়ায় বলি শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলার সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার মায়ের পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
Posted ৩:১০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin