বাগেরহাটের শরণখোলায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের নাম জ্যোৎস্না (৩৫)। তিনি ঘাতক সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।
পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
শরণখোলা থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখে। ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ শরণখোলার তাফালবাড়ি বাজার এলাকার মামুন ভিলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে সাদ্দামকে আটকের পর পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে বস্তাবন্দি জ্যোৎস্নার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন জ্যোৎস্না। স্ত্রী ও ৬ বছরের ছেলে সন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আবদুল লতিফ গাজীর ছেলে।
Posted ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ অক্টোবর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin