অভিনয়জগতকে পছন্দ করেন না সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মা-বাবারা। অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন সন্তান, বিষয়টা এত সহজে মানতে পারেন না বেশিরভাগ অভিভাবক। এমনই এক মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর।
মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আর দরকার নেই আজ। তবে মিমির উঠে আসা জলপাইগুড়ির মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। সম্প্রতি, অভিনেত্রী হিসাবে নিজের যাত্রাপথের কথাই ‘হইচই’ টিভিতে খোলসা করেছেন সাংসদ অভিনেত্রী।
মিমির কথায়, ‘১১ বছর হয়ে গেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হব। একা লড়াই করেছিলাম এই জায়গাটায় আসার জন্য। প্রথমে মিথ্যা কথা বলে এসেছি, বলেছিলাম পড়াশোনা করতে যাচ্ছি কলকাতায়। ৩ হাজার টাকা বাড়ি থেকে পাঠাতো। সেটা দিয়ে পিজির ভাড়া দেব কী? খাব কী? নতুন জামা কিনব কী? অডিশনে কী করে যাব! হতো না। ১ বছর ধীরে ধীরে সবকিছু গোছালাম। প্রথমে মডেলিংয়ে সুযোগ পাই, তারপর সিরিয়াল, তারপর ফিল্ম।’
সম্প্রতি, ‘ড্রাকুলা স্যার’ ছবিতে অন্যরকম একটি চরিত্র ‘মঞ্জরী’র ভূমিকায় প্রশংসা পেয়েছেন মিমি।
তার কথায়, ‘আমি এখন এমনই শক্তিশালী চরিত্রই বেছে নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি এতদিনের সমস্ত চরিত্রগুলি থেকে নিয়ে মঞ্জরী একটা লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র।… সে হয়ত যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে পারেনি। যুদ্ধটা চালিয়ে গেছে। আদর্শের জন্য, ভালোবাসার জন্য।…’
Posted ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin