লক্ষ্মীপুরে সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেলিম মাঝি নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৫০ পরিবারের কাছ থেকে তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেলিম সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে সেলিম মাঝিকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের টহল দল অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার আন্ধার মানিক গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই বৈদ্যুতিক মিটার চাঁদাবাজি মামলায় সেলিমকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, দুই বছর আগে সেলিম মাঝি আন্ধারমানিক গ্রামের ৩৫০ পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেয়। ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে প্রতিটি পরিবার থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেলেও পরিবারগুলো বিদ্যুতের সংযোগ পায়নি। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় জানতে পারে মিটার ফি বাবদ কোনো টাকা সেলিম মাঝি অফিসে জমা দেয়নি। পরে ওই যুবকরাই উদ্যোগ নিয়ে গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে। এনিয়ে সেলিম বিভিন্নভাবে ওই যুবকদের হুমকি ধমকি দেয়।
একপর্যায়ে তার স্ত্রী সেতারা বেগমকে দিয়ে যুবকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন সেলিম। পরে অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেলিমের ভাষ্যমতে, উত্তোলনকৃত টাকার বেশিরভাগই তেওয়রীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মে. শরীফ নিয়ে গেছে।
র্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মো. আবু ছালেহ বলেন, বৈদ্যুতিক মিটার নিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় সেলিম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
Posted ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin