রংপুরের পীরগঞ্জের আলোচিত নেতা নূর মোহাম্মদ মণ্ডল ও তার স্ত্রী লাইলী বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই নেতার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস না পেলেও এই মামলা দায়েরের পর মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকার মানুষ। শুধু তাই নয়, বন বিভাগ জলাশয় আর ভূমি দখলের মামলা করলেও উদ্ধার করতে পারেনি। একে একে বেরিয়ে আসছে সরকারি, বেসরকারি জমি দখলের নানা অজানা কাহিনি।
দুবার এমপি এবং দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকার সুবাদে নুর মোহাম্মদ মণ্ডল ও তার স্ত্রী লাইলী বেগম ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম, তাতেই খেপে গিয়ে দুদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এ প্রভাবশালী নেতা।
রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মণ্ডল বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য জনগণ যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছে সেখানে কাজ করেছি। হঠাৎ দুদক নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বাদী। দুদক যদি মনে করে আমি দুর্নীতি করেছি, সেটা প্রমাণ করতে হবে দুদককে।
মামলা দায়ের করলেও এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি দুদক কর্মকর্তারা।
তবে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকার মানুষ। জানিয়েছেন, কীভাবে তাদের জমি দখল করে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এলাকাবাসীরা বলেন, জমির কাগজপত্র রয়েছে তারপরও তাকে জমি দেয় না। অনেকের জমি দখল করে সেখানে হাসপাতাল, ইটের ভাটা করেছে, মার্কেট করেছে। সব সময় ক্ষমতায় থাকা এই নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করেও জমি উদ্ধার করতে পারেনি বন বিভাগ।
রংপুরের পীরগঞ্জের বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, বার চৌদ্দ বছর ধরে বন বিভাগের জমি দখল করে আছে। আমরা মামলা দিয়েছি।
২০০১ সালের নির্বাচনে পীরগঞ্জের এই আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হারালেও ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে শেখ হাসিনার কাছেই হেরে যান। এরপর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০১৯ সালে পীরগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
Posted ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin