লাহোরে থাকা তুরস্কের দুই কোম্পানির অফিস ঘেরাও করেছে পাকিস্তানি দাঙ্গা পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে তুর্কির দুই প্রতিষ্ঠান আলবাইরাখ ও ওজপাক গ্রুপের ছয়টি অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কোম্পানি দুটির কর্মচারী ও সুপারভাইজাদের বের করে দেয়া হয়। এসব কোম্পানি লাহোরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তবে এ ঘটনায় তুরস্কের কোম্পানি দুটির পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, পাকিস্তানি দাঙ্গা পুলিশ তুর্কি কর্মীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ করেছে। অফিস কক্ষে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার রেকর্ড নষ্ট করে দেয় দাঙ্গা পুলিশ এবং কিছু ফুটেজ মাটিতে আছড়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি পাকিস্তান। খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ এখন পর্যন্ত কোম্পানির ভেতরে অবস্থান করছে।
ওজপাক প্রধান নির্বাহী কর্মকতা নিজামেতিন কোকামেস ও আলবাইরাক প্রজেক্টের সমন্বয়ক চাগরি ওজেল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ওজপাকের চারটি গ্রেজ ও আলবাইরাক গ্রুপের দুটি গ্রেজে লাহোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থা ও দাঙ্গা পুলিশ অভিযান চালায়। এসব গ্রেজে ৭৫০টির বেশি ময়লা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যানবহন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গাড়ি, ট্রাক ও অন্যান্য যানবহন রয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করছে এবং আমাদের কোনো কর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
লাহোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থার সঙ্গে তুর্কি কোম্পানি দুটির ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। কোম্পানি দুটির পক্ষ থেকে লাহোরের এ সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী নয় বলেও জানানো হয়েছে।
এ ঘটনা দুই দেশের নেতা ও ব্যাবসা-বাণিজ্যে বৈরি সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। লাহোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাড়ি আইনগত ও বৈধভাবেই জব্দ করা হয়। দরপত্রের নিয়ম ও শর্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী যানবহনগুলো হস্তান্তরের কথা রয়েছে। দরপত্রে উল্লেখিত শর্তানুযায়ী কোম্পানিগুলো তাদের সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
Posted ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin