হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হোসেন খান মামুনকে ছুরি ও ৩ শ পিস ইয়াবাসহ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামুনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মারফত হাজিরা শেষে মামুনকে বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত মামুন বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তব-পূর্ব ইউনিয়নের পুরান তোপখানা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেন খান নানুর পুত্র। সে বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত ৪টার সময় হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার বড়বাজার রহিমা ফার্নিচার নামক একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে মামুনকে একটি ধারালো ছুরি ও ৩ শ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৫) আগস্ট দুপুরে মামুনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে তাকে আদালত মারফত জেলহাজতে প্রেরণ করে।
কারাগারে আটক মামুনের পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেন খান নানু মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টায় পুরান তোপখানা মহল্লার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে তার পুত্র মামুনকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি মামুনের গ্রেপ্তার হওয়াকে প্রতিপক্ষের যড়যন্ত্র উল্লেখ করে তার পুত্রের মুক্তির দাবি জানান। এবং সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বানিয়াচং সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম আহমেদ বলেন, আমাদের হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের কঠোর নির্দেশ আছে মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনার। আমাদের পুলিশের লোকজন কাজ করছে। আমরা মাদকের ব্যাপারে জেলায় শূন্য সহনশীলতা নীতিতে এগোচ্ছি।
Posted ৫:২১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin