করোনার কারণে বেশিরভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। এর ফলে দুঃশ্চিন্তার মধ্যে সময় পার করছে মানুষ। করোনার কারণে অনেকেই বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করছেন। এতে করে তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা। ভুক্তভোগী হচ্ছে নারীরা। বাড়িতে থেকে অফিসের কাজ করা সাথে গৃহাস্থলির কাজ এই দুই মিলিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এতে করে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে নারী গোষ্ঠী।
যুক্তরাজ্য ৪ দিন ব্যাপী নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের তুলনায় শতকরা ৪৯ ভাগ নারীদের মানসিক দুঃশ্চিন্তা বেড়েছে। বাড়িতে কাজ করার কারণে কর্মঘণ্টা বেড়েছে। এতে করে সমস্যায় পড়ছে নারীরা। অফিসের কাজ করে,সংসার সামলিয়ে বাচ্চা দেখাশোনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পুরুষদের তুলনায় নারীদের কাজের পরিমাণ কয়েকগুণে বেড়েছে। এক্ষেত্রে যাদের সন্তান রয়েছে তাদের কাজের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। শতকরা হিসেবে ৮৬ ভাগ মানুষ এখন মানসিক যন্ত্রনার মধ্যে দিন পার করছে। মানসিক স্বাস্থ্য দাতব্য সংস্থা মাইন্ডের প্রধান এমা মামো বলেছিলেন যে পরে যখন অন্যের সাথে কিছু কাজ ভাগ করে নেওয়া শুরু হয়েছে তখন থেকে কর্মীরা স্বস্তি বোধ করছিলেন। কর্মীদের কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এটি জরুরী ছিলো। এক্ষেত্রে মানুষের জীবনধারা অনুসারে বাড়ি থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে বলে বলছেন মামো।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে আসন্ন মন্দা এবং ব্যাপক বেকারত্ব একটি অভূতপূর্ব মানসিক স্বাস্থ্য সঙ্কট ডেকে আনতে পারে। যুক্তরাজ্য সরকারী খাতের জন্য একটি ওয়ার্কিং টাইম কমিশন গঠন করেছিল। এতে সপ্তাহে চারদিন কাজ করার কথা বলা হয়েছে। এতে করে করোনার সময়েও কাজের ভারসাম্য বজায় থাকে। তৈরি হবেনা বাড়তি ঝামেলা।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
Posted ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin