ক্যারিয়ারে কোন এক সময় আমি যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলতে চাই। তবে কবে স্বপ্ন পূরণ হবে তা বলতে পারছিনা। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সটাকে দেয়া সাক্ষাতাকারে এমনটিই জানিয়েছে বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তিনি আরো জানান, আমার স্বপ্ন একদিন যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলার। ঠিকানা একদিন পরিবর্তন করতে হবেই। সুয়ারেজ গিয়েছে। নেইমার গিয়েছে। ওদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়।
গেল আগস্টে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে বার্সেলোনায় ছাড়ার গুঞ্জনের পর থেকেই আলোচনায় লিওনেল মেসি। প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউর ওপর ক্ষোভে চেয়েছিলেন দল ছাড়তে। আইনের নানা মারপ্যাচ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত মেসিকে বার্সেলোনায় থাকতে বাধ্য করে কাতালান ক্লাব কর্তারা।
স্প্যানিশ গণমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মেসি আরো জানান, গ্রীষ্মকালীন দলবদলে আমি চাইলেই কোন ট্রান্সফার ফি ছাড়া বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি তা চাইনি। আমাকে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বলেছিলো আদালতে গেলে আমরাই জিতবো। কিন্তু আমি এভাবে বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চাইনি। আমি বার্সেলোনাকে ভালবাসি। আজ আমি যে অবস্থানে এসেছি। তার পুরো কৃতিত্ব বার্সেলোনার। এই ক্লাবের জার্সি মানে আমার কাছে ভিন্ন কিছু।
মেসির ক্যারিয়ারের পুরোটাই বার্সার ছায়াতলে। ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস ক্লাব থেকে বিনা ট্রান্সফার ফিতে ন্যু ক্যাম্পে যোগ দেন মেসি। ২০০২ সাল থেকে বার্সা যুবদলের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন।
২০০৩ সালে যোগ দেন বার্সার অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। এরপর বার্সা অনূর্ধ্ব-১৯, বার্সা সি দল এবং বার্সা বি দলের হয়ে খেলা সম্পন্ন করে ২০০৫ সালে ১ জুলাই থেকে বার্সার মূল দলে ঠাই হয় তার। এরপর থেকেই বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা তারকায় পরিণত হন মেসি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মেসি বার্সেলনার হয়ে ৭৩১ ম্যাচ খেলে ৬৩৪টি গোল করেছেন।
সময়ের এই সেরা তারকা ৬ বার ফিফার বর্ষসেরে খেলোয়াড় হয়েছেন। ব্যালন ডি অর জিতেছেন ৬ বার। বার্সার হয়ে চারবার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ১০ বার স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি ও ৬ বার স্প্যানিশ কাপ জেতেন এই মহাতারকা।
Posted ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin