অনলাইন ডেস্ক:
রি-প্যাকেজিংয়ের নামে নকল ও ভেজাল সার তৈরির বেশকিছু কারখানা গড়ে ওঠেছে রংপুরে। মনিটরিংয়ের অভাবে মূলত আমদানিনির্ভর জিপসাম, জিংক সালফেট, বোরন ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার বেশি নকল ও ভেজাল হচ্ছে। এসব ভেজাল সার অবাধে বাজারজাত হওয়ায় টাকা দিয়ে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক, উর্বরতা হারাচ্ছে জমি।
রংপুরে সারের কোনো আমদানিকারক বা বৈধ কোনো সার কারখানা নেই। কিন্তু সম্প্রতি এ ধরনের দুটি কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। বেরিয়ে আসে রি-প্যাকেটিংয়ের নামে ভেজাল ও নকল সার বাজারজাত করা হচ্ছিল।
জানা গেছে প্রতি বছরের চাহিদার এক লাখ ৬৬ হাজার ১২০ টন ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সার সরকার অনুমোদিত ১৮২ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হলেও ৪৫ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন জিপসাম, জিংক সালফেট, বোরন ও মেগনেশিয়াম সালফেট বেসরকারি পর্যায়ের আমদানিকারকরা বিভিন্ন দেশ থেকে এনে নতুন করে প্যাকেটজাত করে খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে বাজারজাত করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রংপুর মহানগর পুলিশ অতিরিক্ত উপকমিশনার উত্তম পাঠক জানান, জিংক, সালফেটের পরিমাণ যে রকম থাকা দরকার, সে রকম নেই। এতে করে চকচক করা মোড়ক দেখে সার কিনে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছে।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করি এবং ভেজাল প্রমাণ পাওয়ায় ৬৫ হাজার টাকা ভ্রাম্যামাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করি।
রি-প্যাকেটিংয়ের সুযোগ নিয়ে কতিপয় আমদানিকারক ভেজাল ও নকল সার বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের। কৃষি বিভাগের নজরদারির অভাবে এসব চলছে বলে অভিযোগের সরাসরি উত্তর নেই কৃষি কর্মকর্তা ড. সরওয়ার উল হকের।
রংপুর জেলায় প্রতি বছর ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সারের চাহিদা ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৩ মেট্রিক টন।
Posted ৩:২২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin