রামায়ণ অনুযায়ী, বিজয়া দশমী বা দশেরার দিন রাবণ বধ করেন রাম। এর পর অযোধ্যায় ফেরেন রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ। দীপাবলির দিন তারা প্রবেশ করেন তাদের রাজ্যে। তাদের স্বাগত জানাতে অযোধ্যাকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে প্রদীপ। উল্লেখ্য, ত্রেতা যুগে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে রাবণ বধ করেছিলেন রাম।
১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে রাবণ বধ করে সীতা ও লক্ষ্মণ-সহ রাম যখন ঘরে ফেরেন তখন আনন্দে আত্মহারা অযোধ্যাবাসী। এর প্রায় ২০ দিন পর অযোধ্যায় ফেরেন তারা। রামায়ণের পাশাপাশি মহাভারতেও দীপাবলি পালনের উল্লেখ রয়েছে।
স্বর্গ ও মর্ত্য দখল করে ভূদেবী ও বরাহর পুত্র নরকাসুর অত্যাচার শুরু করে। তার প্রাসাদে বন্দি ছিলেন ১৬ হাজার নারী। স্বর্গ ও মর্ত্যবাসীকে মুক্ত করতে নরকাসুরকে বধ করেন কৃষ্ণ। এর পর প্রাসাদে বন্দি ১৬ হাজার নারীকে উদ্ধার করে সবাইকেই বিয়ে করে নেন কৃষ্ণ।
এই সময় কৃষ্ণের কাছে নিজের মৃত্যুর দিনটি ধূমধামে পালন করার বর চান নরকাসুর। প্রচলিত মত অনুযায়ী, দীপাবলিতেই নরকাসুর বধ করেন কৃষ্ণ। তাই নরকাসুরের কামনা পূরণ করতে ধূমধাম করে পালিত হয় এই উৎসব।
মহাভারতের অন্য এক প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, ১২ বছর বনবাস ও ১ বছরের অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে দীপাবলিতে হস্তিনাপুরে ফেরেন পাণ্ডবরা। দ্রৌপদী ও পঞ্চপাণ্ডবকে স্বাগত জানাতে আলোয় সাজানো হয়েছিল হস্তিনাপুরকে। সেই থেকেই এই দিনটি দীপাবলি।
Posted ৪:০১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin