সোমবার গভীর রাতে ওই থানার হাজতে থাকা মো. লিটন (৪৫) হাজতখানার বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাদকের একটি মামলায় লিটনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, গত ৩১ জুলাই র্যাব-১ এর একটি দল উত্তরা বিডিআর বাজার এলাকা থেকে পাঁচ হাজার ৮ পিস ইয়াবাসহ লিটনকে আটক করেছিল। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এরপর পরের দিন তাকে আদালতে হাজির করে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সোমবার ছিল তার রিমান্ডের প্রথম দিন। এ রাতেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। লিটনের বাড়ি বগুড়ার কাহালু থানা এলাকায়।
পুলিশের বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তাপস কুমার দাস সমকালকে বলেন, তারা থানা হাজতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে দেখা যায়, সোমবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ওই আসামি হাজতে থাকা কম্বল ছিঁড়ে ফেলেন। সেই টুকরা নিয়ে হাজতের ভেতরের টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে থানার পুলিশ বিষয়টি টের পেয়ে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই আসামির মরদেহ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রাতে হাজতখানায় দায়িত্বরত পুলিশের কোনো সদস্যের গাফিলতি ছিল কি-না তা তদন্তের তিন সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে।
পুলিশের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, লিটন এক সময়ে পরিবহন শ্রমিক ছিলেন। এরপর মাদকের কারবারে জড়িয়ে যান। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের আগে আরও দুইবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
Posted ২:৩৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin