লক্ষ্মীপুরে সড়কের মাঝখানে অর্ধশতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। গত দুই বছরেও খুঁটিগুলো সরানো হয়নি। এসব ‘কাঁটা’র যন্ত্রণা নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। এ কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরকারি কাজের সঠিক তদারকি না থাকা ও সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তবে পল্লী বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগ দুষছেন একে অপরকে। আর বলছেন এসব খুটিঁ সরাতে সময় লাগবে আরো কয়েক মাস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর-চন্দ্রগঞ্জ ছয়ানী-মাইজদী সড়ক এটি। আর এসব খুঁটিগুলো ছিল সড়কের পাশে। সড়ক প্রশস্ত করার কারণে সেগুলো পড়েছে মাঝখানে। এরপর কেটে গেছে দুই বছর। এত দিনেও খুঁটিগুলো সরানো হয়নি। সড়কের কামারহাট থেকে দাসের হাট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের মাঝখানে অন্তত রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক খুঁটি। ব্যস্ততম এই রাস্তার মাঝখানে একটু পরপরই দেখা মেলে এসব পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে ছোট-বড় কয়েক হাজার যানবাহন। এতে প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এসব খুটিঁ সরানোর জন্য সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকারি কাজের সঠিক তদারকি ও সমন্বয়হীনতা না থাকার কারণে বছরের পর বছর সড়ক থেকে খুঁটি সরানো হচ্ছে না। এক বিভাগ অপরকে বিভাগকে দোষ চাপিয়ে দায় সারছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সড়কের আশপাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। তাই প্রতিদিনই নানা কাজে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহন ও সাধারন মানুষদের। রাস্তার মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের এসব খুটির কারণে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত এসব খুঁটি সরানোর দাবি জানান এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও স্থানীয়রা।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, খুঁটি সরাতে সড়ক বিভাগকে বরাদ্ধ দেয়ার জন্য বারবার আবেদন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। বরাদ্ধের অভাবে খুটি সরানো যাচ্ছেনা। খুটি সরাতে সড়কবিভাগ যেভাবে সহযোগিতা করার কথা তাও করছেনা বলে অভিযোগ করেন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। বরাদ্ধ না পেলে কোনভাবে খুটি সরানো সম্ভব নয় বলে দাবী করেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ওজনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সড়কের ওপর নিজেদের মন মত যেখানে-সেখানে খুঁটি স্থাপন করে। কোন অনুমতির তোয়াক্কা করছেনা। তাদের বারবার খুটি সরানো জন্য বলা হলেও তারা খুঁটি না সরিয়ে উল্টো বরাদ্ধের জন্য সড়ক বিভাগকে চিঠি দেয়। মন্ত্রণালয়ে বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হবে। তবে আরো কয়েকমাস সময় লাগবে।
Posted ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin