লকডাউন চলকালে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে দোকান-পাট বন্ধ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বিজিবি ও পুলিশে ৪ চার সদস্য আহত হয়েছেন।
এ সময় হামলাকারীরা বিজিবি ও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় বিকেলে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ জানায়, লকডাউন চলাকালে ঝগড়ারচর বাজারের ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখছিলেন এবং বাজার বসাচ্ছিলেন। বেশ কয়েকবার নিষেধ করার পরও তারা শোনেননি। বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও পুলিশের একটি দল ওই বাজারে গিয়ে দোকান-পাট বন্ধ করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আল আমিন ও সানাউল মোর্শেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছিল। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে শত শত লোক সংগঠিত হতে থাকলে প্রশাসনের লোকজন ওই স্থান থেকে চলে আসতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠি-সোঠা ও পাটকেল নিয়ে কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাংচুর করে। হামলায় বিজিবি ও পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়ন ময়মনসিংহের সদস্য মো. রুবেল খন্দকার (৩৫) ও মো. সবুজ (২০) এবং শ্রীবরদী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আজহারুল হক (৩৬) ও কনস্টেবল মো. জান্নাত (২৫)। তারা শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঝগড়ারচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমাছ আলী বলেন, কাপড় ব্যবসায়ী মো. লিটন মিয়াকে মারধর করা হলে লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
তবে শ্রীবরদীর ইউএনও নিলুফা আক্তার বলেন, আমাদের লোকজন দোকানপাট বন্ধ করতে গিয়েছিল। কাউকে মারতে নয়। এরপরও পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা হামলা করেছে। প্রশাসনের লোকজন হামলার শিকার হয়েও কোনো অ্যাকশনে না গিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় ২০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
Posted ৪:১৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin