ঢাকার ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সাংবাদিক জুলহাস হোসেনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রধান আসামি শাহীন মিয়া। গতকাল রোববার দুই আসামি শাহীন ও মোজাম্মেলকে আদালতে হাজির করা হলে শাহীন হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলহাস উদ্দিন ব্যক্তিগত কাজে নিজের প্রাইভেটকারে করে মানিকগঞ্জ যান। এ সময় তাঁর প্রাইভেটকারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেটি একটি গ্যারেজে দিয়ে লোকাল বাসে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন জুলহাস। বাসটি বাড়বাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে থামলে নামামাত্রই আগে থেকে অনুসরণ করতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তাঁকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। ওই দিন রাতেই ময়নাতদন্তের পর জুলহাসের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি হাতকোরায় দাফন করা হয়।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দুই আসামি শাহীন ও মোজাম্মেলকে আটক করে ধামরাই থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
নিহত জুলহাস হোসেন বিজয় টিভির ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাফকুড়া গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে, এ ঘটনায় জুলহাসের বোন রিনা খাতুন পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলেও তিন আসামি তিন দিনেও আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এ ছাড়া আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
Posted ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin