যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট দেশের বাইরে কী পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন তা খুঁজে বের করতে শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরে পাচার করা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাচারের প্রমাণ দুদকের হাতে এসেছে। সিঙ্গাপুরী ডলারে যা তিন কোটি ৬৫ ডলার।
একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় পাচার করা ৪০ লাখ টাকার আংশিক তথ্য পেয়েছে দুদক। চিঠিপত্র বিনিময় করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে দুদক সম্রাটের পাচার করা এই অর্থের সন্ধান পায়।
যা দুদকের করা মামলায় অবৈধ সম্পদের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বলে জানান দুদকের এক পরিচালক।
এর আগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছিল দুদক। মামলায় দেশের বাইরে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা পাচারের একটি ধারণা দিয়ে তদন্তকালে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তথ্য দেয়া হয়।
দুদকের মামলায় সম্রাটের দুটি ব্যাংকের দুটি হিসাবে ৮৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৮ টাকার তথ্যও দেয়া হয়। তার এই টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে।
এদিকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে সিআইডি। এ মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনে সিআইডি। ক্যাসিনোকাণ্ডে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় সম্রাট।
Posted ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin