আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে র্যাবের একটি দল তাঁদের কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করে। পরে তাঁদের আদালতের খাস কামরায় নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা শুরু করে। এর আগে সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতে হাজির করা সিনহার হত্যা মামলার চার আসামি হচ্ছেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গত ২৪ আগস্ট সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। আদালতের আদেশ পেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চার সদস্যকে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে র্যাব। আজ চার দিনের রিমান্ড শেষে তাঁদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে আনা হয়েছে।’
এর আগে সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও প্রদীপ রাজি হননি। তাঁরা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যসহ এ পর্যন্ত আট আসামি সিনহা হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এরপর সিনহার বোন নয়জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
Posted ৭:০২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin