* ২৪ ঘন্টায় নেত্রকোনায় ৪০ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
* অবৈধ ভারতীয়দের পুশব্যাক করছে বাংলাদেশ
‘যাদের পুশইন করা হচ্ছে, তারা আদৌ বাংলাদেশি কি-না, যথাযথ কাগজপত্র রয়েছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই ও প্রশ্ন করা দরকার। প্রয়োজন হলে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হোক’
– আসিফ মুনীর, অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ
‘সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ যাতে অবৈধভাবে কাউকে পুশ ইন করতে না পারে সে জন্য বিজিবি, আনসার সদস্যসহ সীমান্তবাসী যৌথভাবে পাহারা দিচ্ছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে’
– লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক, অধিনায়ক, কুড়িগ্রামে ২২ বিজিবির অধিনায়ক
‘পুশ ইনের মাধ্যমে যারা আসছে বাংলাদেশি প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের স্থানীয়ভাবে আশ্রয় দিয়ে রাখা হচ্ছে। অবৈধ বেশকিছু ভারতীয়দের পুশব্যাক করাও হচ্ছে। তবে সেটা অফিসিয়ালি নয়। যথাযথ নিয়ম মেনেই পুশ ব্যাক করা হচ্ছে’
– ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এসএম দেলোয়ার হোসেন
প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলা ভাষাভাষী এমনকি ভারতে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ভারতীয় লোকজনকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। শুধু গত ৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ২৫ দিনেই এক হাজার ২২১ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। এজন্য সীমান্তবর্তী ২২টি জেলার অর্ধশত পয়েন্টকে বেছে নিয়েছে বিএসএফ। সবচেয়ে বেশি পুশইনের ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার তিন সীমান্ত দিয়ে। বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি জনপথ, সুন্দরবনের বন-জঙ্গলকেই নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে বিএসএফ। গত ২৪ ঘন্টায় এবার নেত্রকোনার সীমান্ত দিয়ে ৪০ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ৩২ জন বিজিবি ও ৮ জন সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে জনতার হাতে আটক বিএসএফ সদস্যকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিজিবি। গত এক মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে বিএসএফের পুশইনের পর আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশে অবস্থান করা ‘অবৈধ ভারতীয়দের’ ফেরত পাঠানো বা পুশ ব্যাকের বিষয়ে। এরই মধ্যে অবৈধ ভারতীয়দের পুশব্যাক শুরু করেছে বাংলাদেশ। অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের পুশইন করা হচ্ছে, তারা আদৌ বাংলাদেশি কি-না, যথাযথ কাগজপত্র রয়েছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই ও প্রশ্ন করা দরকার। প্রয়োজন হলে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হোক। বিজিবি বলছে, সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ যাতে অবৈধভাবে কাউকে পুশইন করতে না পারে সেজন্য বিজিবি-আনসার ও জেলা পুলিশসহ সীমান্তবাসী যৌথভাবে পাহারা দিচ্ছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুশ ইনের মাধ্যমে যারা আসছে বাংলাদেশি প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের স্থানীয়ভাবে আশ্রয় দিয়ে রাখা হচ্ছে। অবৈধ বেশকিছু ভারতীয়দের পুশব্যাক করাও হচ্ছে। তবে সেটা অফিসিয়ালি নয়। যথাযথ নিয়ম মেনেই পুশ ব্যাক করা হচ্ছে। এছাড়া পুশইন বন্ধে দিল্লিকে আবারও চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চাপে রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরীতা আচরণ শুরু করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরই অংশ হিসেবে
সে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ বাংলা ভাষাভাষী বাংলাদেশি মুসলিম ও ভারতীয় নাগরিকদের গণগ্রেপ্তার চালিয়ে বিমানযোগে দেশটির সীমান্তবর্তী বিএসএফ ক্যাম্পে জড়ো করছে। এরপর সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে আলো নিভিয়ে সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে পুশইন করছে বিএসএফ। প্রতিটি গ্রুপে নারী-শিশুসহ অন্তত ৮ থেকে ৩৫ জন করে সীমান্তের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশের দিকে জোরপূর্বক ঠেলে দিচ্ছে। কেউ এপাড়ে আসতে রাজি না হলে চালানো হচ্ছে জুলুম-নিপীড়ণ। নির্যাতনের ভয়ে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নোম্যান্সল্যান্ড দিয়ে এ দেশে প্রবেশ করছে বিএসএফের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা।
বিজিবি সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই ২৫ দিনে দুর্গম সীমান্ত দিয়ে এক হাজার ২২১ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৩৮০ জন, খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩২ জন, সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১১৫ জন, কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৯৩ জন, লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে ৮৫ জন, ফেনী ও ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে ৫২ জন করে, হবিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৪১ জন, পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ৩২ জন, মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ৩০ জন, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন, ঠাকুরগাঁও ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন করে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন, সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জন, দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন, কুমিল¬া সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন ও কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে পুশ ইন করা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের গহিন অরণ্যের মান্দারবাড়িয়া এলাকা দিয়ে ৭৮ জনকে পুশ ইন করেছে ভারত। তবে সবশেষ নেত্রকোণার দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে নারী শিশুসহ সর্বমোট ৪০ জনকে পুশ ইন করিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তার মধ্যে বিজিবির অধীনে ৩২ ও সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে ৮ জন। গত ৩ জুন দিবাগত গভীর রাতে জেলার দুর্গাপুরে বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে পুশ ইন করানো হয়।
জানা গেছে, পুশ ইন করানো সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক। বিজিবি অধীনে থাকা ৩২ জনের মধ্যে নয়জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। সেনাবাহিনীর অধীনে আটকদের মধ্যে ৫ জন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ জনকে বিজয়পুর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে বিজয়পুর বিওপির বিজিবি সদস্যরা। তাদের প্রত্যেককেই আইনি প্রক্রিয়ায় দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার (৪ জুন) ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে জনতার হাতে আটক হন শ্রী গণেশ মূর্তি নামের বিএসএফের সদস্য। তিনি মদ্যপ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। তিনি ভারতীয় নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সিনিয়র কনস্টেবল। পরে স্থানীয়রা তাকে বিজিবি’র কাছে সোপর্দ করে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের ব্যাপারে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়।
এর আগে, গত ২ জুন দুপুরে ভারতের হাকিমপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ভাদিয়ালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি পুশ ইনের ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার তিন সীমান্ত দিয়ে। এ বিষয়ে বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের কিছু এলাকায় ঘন জঙ্গল ও দুর্গম পাহাড় থাকায় বিজিবির টহল কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতার সুযোগ নিচ্ছে বিএসএফ।
বাংলাদেশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ভারত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সীমান্ত দিয়ে জোর করে লোকজনকে বাংলাদেশে পুশইন করছে। বাংলাদেশে যেসব অবৈধ ভারতীয় অবস্থান করছে তাদের যথাযথ নিয়ম মেনে পুশব্যাক করা হচ্ছে। ভারত যাদের পুশইন করেছে তাদের ওপর নির্মম নিপীড়ন ও নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের শরীরে নিষ্ঠুরতার ছাপ ফুটে উঠেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ভারতের বিএসএফকে বারবার পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে পুশইন বন্ধ করার তাগিদ দিলেও তারা শুনছে না, পুশইন করেই চলেছে।
বিজিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের কিছু এলাকায় ঘন জঙ্গল ও দুর্গম পাহাড় থাকায় বিজিবির টহল কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতার সুযোগ নিচ্ছে বিএসএফ। দেশের সীমান্তবর্তী ২২টি জেলায় এ রকম ৫০টি সীমান্ত এলাকাকে পুশইনের ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিজিবি। ওই সব এলাকায় টহল জোরদার, সীমান্ত পাহারায় স্থানীয়দের যুক্ত করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পুশইন ঠেকাতে গ্রামবাসী ও বিজিবির সদস্যরা রাতভর পাহারা দিচ্ছেন। অনেক সীমান্তে উত্তেজনাও বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ৩০ মে রাতে কুড়িগ্রামের কচাকাটা এলাকার শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্তে বিএসএফের পুশইন নিয়ে রাতভর চলে উত্তেজনা। এ সময় পুশইন ঠেকাতে বিজিবি ও আনসার ভিডিপি কঠোর অবস্থান নেয়। তাদের সঙ্গে পুশইন ঠেকাতে প্রায় এক কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় মানব দেওয়াল সৃষ্টি করে রাতভর পাহারা দেয় স্থানীয় হাজারো বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জের বিএসএফ সদস্যরা পুশ ইন করতে দুটি পিকআপ ভ্যানে ৫০ থেকে ৬০ জন নাগরিককে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের ফাইসকারকুটি গ্রামের একটি স্কুলে জড়ো করে। পরে সেই সীমান্তের সব বাতি বন্ধ করে পুশইন করার চেষ্টা করে বিএসএফ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শত শত জনতা সীমান্তে অবস্থান নিয়ে পাহারা দেন। পরে কুড়িগ্রামে ২২ বিজিবির কচাকাটা ও কেদার ক্যাম্পের সদস্য ও আনসার-ভিডিপির কয়েকটি টিম সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেয়। অন্যদিকে বিএসএফও অবস্থান নেয় ভারতীয় সীমান্তে। রাত ২টার দিকে শূন্য রেখায় অবস্থান নেয় বিএসএফ। এ সময় বিএসএফ কয়েক দফা বিজিবির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বিজিবি তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে রাত ৩টার দিকে শূন্য রেখা থেকে সরে যায় বিএসএফ।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামে ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক বলেন, সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ যাতে অবৈধভাবে কাউকে পুশ ইন করতে না পারে সে জন্য বিজিবি, আনসার সদস্যসহ সীমান্তবাসী যৌথভাবে পাহারা দিচ্ছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, যাদের পুশ ইন করছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি যারা তারা কী উদ্দেশ্যে, কবে ভারতে গিয়েছিল, কোনভাবে গিয়েছিল, তাদের ভারতীয় বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল কি না? এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা দরকার।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হোক। যদি পুশ ইন চলমান থাকে সেটিও খোঁজ নেওয়া দরকার।
বিজিবি সদর দপ্তর জানিয়েছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। এছাড়া পুশইন রোধে বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে যথাযথ আইন অনুসরণ না করায় পুশইন বন্ধে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। কিন্তু অদ্যবধি তারা সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি পুশিইনের ঘটনাটি বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র-পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিএসএফের পুশইন ইস্যুটি তোলা হয়। বৈঠকে কূটনৈতিক তৎপরতা আরও জোরালো করার কথা জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আবারও দিল্লিকে চিঠি দিবে ঢাকা। পুশইনের মাধ্যমে যারা আসছে বাংলাদেশি প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের স্থানীয়ভাবে আশ্রয় দিয়ে রাখা হচ্ছে।
অবৈধ ভারতীয়দের পুশ ব্যাক করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু পুশব্যাক করা হচ্ছে। তবে সেটা অফিসিয়ালি নয়। বাংলাদেশ যথাযথ নিয়ম মেনেই পুশব্যাক করছে।
Posted ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
dailymatrivumi.com | Shimul Howlader