চড় চড় করে বাড়ছে বিট কয়েনের দাম। মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে ভার্চুয়াল এই মুদ্রার দাম বেড়েছে ৮ হাজার ডলার বা ৬ লাখ ৮০ টাকা। বর্তমানে এক বিট কয়েনের দাম ২৮ হাজার মার্কিন ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র এক খবরে বলা হয়েছে, বিট কয়েন কি শুধু দাম বৃদ্ধির ক্ষ্যাপাটে ভাব ধরে থেমে আছে? না, সম্পদের হিসাবে এটি এরই মধ্যে ভিসা, মাস্টারকার্ড, ওয়ালমার্টের মতো প্রতিষ্ঠানকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।
২৭ ডিসেম্বরের ওই খবরে বলা হয়, মাত্র ১১দিন আগে ২০ হাজার ডলার ছাড়ায় ১ বিট কয়েনের দাম। এবার ৩০ হাজার ডলারের দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের সাংকেতিক মুদ্রা। এর কোন বাস্তব রূপ নেই। শুধু ইন্টারনেট জগতেই এর অস্তিত আছে। এর মাধ্যমে লেনদেন শুধু অনলাইনেই সম্ভব। যার পুরো কার্যক্রম ক্রিপ্টগ্রাফি নামক একটি সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উঠতি মার্কেটি পরিণত হয়েছে। এই লেনদেনে তৃতীয় পক্ষের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় করছে তা অন্য কেউ জানতে পারে না।
বিট কয়েন দাম বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনার ধাক্কা মোকাবিলায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার শুন্যের কাছাকাছি নামিয়ে এনেছে, এবং এ অবস্থা দীর্ঘ থাকবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। বাজারে ডলারও দুর্বল হচ্ছে। এসব কারণেই বিনিয়োগকারীরা বিট কয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ ঢালছেন।
এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে নিউইয়র্কভিত্তিক বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান স্কাইব্রিজ ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্থোনি স্ক্যারামুসি সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিট কয়েন মানুষ গ্রহন করছে। তবে, এই কারেন্সিতে বেশ ঝুঁকিও আছে। বিনিয়োগকারীকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটা ঠিক গত মাসের শুরুর দিকে এই কয়েনটি বিনিয়োগকারীদের পকেট ভারী করেছে।
সাম্প্রতিক গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে বিট কয়েনের দাম বৃদ্ধির এই পাগলামী ভাবটা আরও কিছু দিন থাকবে। তবে, হঠাৎ করেই ২০ থেকে ৫০ শতাংশ দাম পড়েও যেতে পারে। তাই বিনিয়োগকারীদের বেশ সাবধানতাও অবলম্বন করার পরামর্শ দেন অ্যান্থোনি স্ক্যারামুসি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিট কয়েনের দাম ২০ হাজার ডলারে উঠা-নামা করছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর রেকর্ড পতনে মুদ্রাটির দাম ১১ হাজার ডলারের নিচে নেমে আসে। চলতি বছরের শুরুর দিকে মুদ্রাটির দাম ছিল ১ হাজার ডলারের মতো। তারপর থেকে এর মূল্য হু হু করে বাড়তে থাকে। জুনে এক লাফে এর দাম ১০ হাজার ডলার বৃদ্ধি পায়।
Posted ২:২৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin