মিত্র দেশ অস্ট্রেলিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের সামরিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা জোরদার, তাইওয়ানের ওপর চীনের পদক্ষেপ, পূর্ব-দক্ষিণ চীন সাগরে বলয় সৃষ্টি করতে মার্কিন সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ অস্ট্রেলিয়ায় বিমান, নৌসেনার উপস্থিতি বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রতিরক্ষা বন্ধন বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের আলোচনা সভায় প্রতিরক্ষা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়িড অস্টিন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পন্থায় আমরা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছি। এ সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
অস্টিন বলেন, আজকের আলোচনার ভিত্তিতে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি বাড়াব। এর মধ্যে বোম্বার টাস্কফোর্স, সেনা ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী থাকবে।
তিনি আরো বলেন, জাপানকে অস্ট্রেলিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া উদ্যোগে যুক্ত করার জন্য আহ্বান করবে দুটি দেশ।
চীনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের কারণেই মার্কিন-অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বন্ধন আরো জোরদার করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একটি অঞ্চলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্ভাগ্যবশত, সেই লক্ষ্য আজ চ্যালেঞ্জের মুখে। চীন বিপজ্জনক। তারা ইন্দো-প্যাসিফিকসহ তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো ছাড়াও পূর্ব-দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের পদচারণা বাড়াচ্ছে। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
Posted ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin