মানবিক সাহায্য-সহায়তায় দিনটা কেটে গেলেও রাতে অজানা আতঙ্কে সময় কাটান রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ার মানুষ। তবে হামলায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে অভয় দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা।
রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতের নারকীয় তাণ্ডবের সময় কাউকে কাছে না পেলেও আগুনে পোড়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর মাঝিপাড়ার মানুষের পাশে এখন সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সবাই। গত কয়েক দিনে মানুষের সহানুভূতিতে কষ্টের কিছুটা উপশম হয়েছে আক্রান্ত মানুষের। ভোর থেকে সহানুভূতিশীল মানুষের পদচারণায় দিন কাটছে।
সকাল হলেই কেউ না কেউ ক্ষুধার আহার, পরনের কাপড়, শিক্ষা-উপকরণ নিয়ে প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন। কেউ নিয়ে আসছেন মাছ ধরার জাল, পশুখাদ্যসহ সবকিছুই। এমনকি বিরস মুখে ঋণের কিস্তি তোলা এনজিওকর্মীরাও এসেছেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে।
একজন এনজিওকর্মী জানান, তিনি এলাকার অবস্থা দেখতে এসেছেন। অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরোদা রাণী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য-সহযোগিতা করতে চায় বিভিন্ন এনজিও। তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী তারা এই সহযোগিতা করবে।
দিনের বেলায় সব ভুলে থাকলেও রাত হলেই আতঙ্ক নামে গ্রামজুড়ে। স্থানীয়রা জানান, রাতে এই এলাকা মরুভূমির মতো মনে হয়। খুব ভয় লাগে। এখন প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আছে। তারা হয়তো দুই দিন, তিন দিন সর্বোচ্চ পাঁচ দিন থাকবে। এরপর আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে?
তবে বিপন্ন মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা, তাদের ওপর চলা অমানবিক নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে অভয় দেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা।
রপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের আশ্বস্ত করতে চাই- আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি।
ধর্মান্ধ-জঙ্গিগোষ্ঠীর নির্মমতার সবশেষ শিকার রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়া গ্রাম। এখানকার বিপন্ন ৬৫টি অসহায় জেলে পরিবার রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্বশীলতায় আবার ঘুরে দাঁড়াবে- এমন প্রত্যাশা সবার।
Posted ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin