আম এতোটাই সুস্বাদু যে ছোট থেকে বড় সবারই তা বেশ পছন্দের। আম কাঁচা এবং পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। দেখা যায় আমরা অধিকাংশ ফল খেয়ে খোসা ফেলে দেই। আমের ক্ষেত্রেও এর ভিন্ন কিছু ঘটে না।
কিন্তু জানেন কি, আমের খোসাতেও রয়েছে নানা উপকার। যেমন- আমের খোসায় রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়াম। ফলটির খোসাও বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক আমের খোসায় কী কী উপকারিতা রয়েছে-
ওজন কমায়
আমের খোসায় পেকটিন ফাইবারও পাওয়া যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি কতটা কার্যকরী, তা আমরা সকলেই জানি।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো
আমের খোসা, বিশেষ করে পাকা আম ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ। ত্বক ও চুল ভালো রাখতে এই ভিটামিন খুবই কার্যকর। ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে, ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ এবং প্রদাহও দূর করে। এছাড়াও, আমের খোসা চুলের বৃদ্ধি এবং স্ক্যাল্প ভালো রাখতে অত্যন্ত সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
আমের খোসায় রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি থেকেও বাঁচায়। পাশাপাশি আম শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যার ফলে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়।
হার্ট ভালো রাখে
হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে আমের খোসা দারুণ কার্যকরী একটি ফল। গবেষণা অনুযায়ী, আমের খোসা ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক্সের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যৌগগুলো শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফলে স্থূলতা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডিসলিপিডেমিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
Posted ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ জুন ২০২২
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin