আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নারী ফুটবল দল। যেখানে আর্জেন্টিনাকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা।
ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল নারী দল। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানে দি অলিভেইরা। লিড নিয়েই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পরও ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে ব্রাজিল। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন নিকোলে রাইসলা। ৫৯তম মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন অ্যাঞ্জেলিনা। তবে ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে গোলের দেখা পান আর্জেন্টিনার ফ্লোরেন্সিয়া বন্সেগুন্ডো। তবে এতে পরাজয়ের ব্যবধান কমে মাত্র।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে কিছুদিন আগেই মুখোমুখি হয়েছিল ল্যাতিন আমেরিকার দুই জায়ান্ট আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল। কিন্তু মাত্র ৭ মিনিট খেলা হওয়ার পরই ম্যাচটি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার স্থগিত ম্যাচ নিয়ে তদন্তে নেমেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক ফিফা। ফিফা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ওই ম্যাচের সার্বিক দিক পর্যবেক্ষণ করেছি। এখন শুধু পদক্ষেপ নেওয়ার পালা। ওরা দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা দুটি দল। এমন ঘটনা ওদের থেকে আশা করিনি। ম্যাচটা কিছুক্ষণ চলল, এরপর ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তারা মাঠে প্রবেশ করে আর খেলা স্থগিত করে দেওয়া হয়।’
স্থগিত ম্যাচের নির্দিষ্ট তিন পয়েন্টের ব্যাপারে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির ৭৪ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। খেলতে বাধা দেওয়া যাবে না। খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে সেটা মেটাতে হবে ম্যাচ শুরুর আগে বা পরে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অবশ্যই নয়। এমনটি হলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল তিন পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই তিন পয়েন্ট।
আর সে হিসেবে খেলতে না পেরেও কিছুটা হলেও খুশি হতে পারার কথা লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা শিবিরের। এদিকে, মাঠের ফল মাঠের বাইরে গড়ানোয় দোটানায় ফিফাও। কারণ যেহেতু এটি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ ছিল, তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফিফাকেই। কনমেবল এ ব্যাপারে কিছুই করার এখতিয়ার রাখে না।
তবে ফিফাও ভালো করে জানে যে, তারা যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন তা-ই সমালোচনার মুখে পড়বে। এছাড়া ব্যস্ত শিডিউলের কারণে পুনরায় ম্যাচটি আয়োজন করাও সম্ভব নয়। এর আগে মেসি-নেইমারদের লড়াই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক সংস্থা আনভিসার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাদের বিতর্কিত ভূমিকার জেরেই সাও পাওলোতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি শুরু হয়েও স্থগিত হয়ে যায়।
Posted ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin